তুরষ্কের সাথে বাংলাদেশের চলমান সামরিক সম্পর্ক পূর্বের তুলনায় আরো বেশী জোরদার হচ্ছে। তুরষ্ক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য OTOKAR COBRA 1/2, আইইডি ডিসপোজাল রোবট, সার্ভ্যাইল্যান্স ড্রোন, রাডার এবং বিমান বাহিনীর জন্য গাইডেড বম্ব সরবরাহ করার মধ্য দিয়ে তুর্কী সরন্জাম ব্যবহারে ধীরে ধীরে বাংলাদেশ ন্যাটো গ্রেডের সামরিক সরঞ্জামের দিকে ঝুঁকছে।
এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তুরষ্কের তৈরী সাবমেরিন রেসকিউ শীপের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য সাবমেরিন পরিচালনাকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী নিজেদের জন্য এধরণের জাহাজের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী। কোন কারণে গভীর সাগরে সাবমেরিন দুর্ঘটনার শিকার হলে তাহলে আক্রান্ত সাবমেরিনার বা সাবমেরিনটিকে উদ্ধারের কোন যন্ত্রপাতিই এমুহূর্তে আমাদের হাতে নেই। দক্ষিণ এশিয়ার চীন এবং ভারত ছাড়া আর কারো কাছেই সাবমেরিন রেসকিউ শীপ নেই। এ অবস্হায় আজকেই যদি আমাদের কোন সাবমেরিন দুর্ঘটনার শিকার হয় তাহলে হয় ভারতের সাহায্য লাগবে না হয় চীনের। আর ততক্ষণ ক্রুরা যদি জীবিত থাকেন।
এছাড়া সেনাবাহিনীর জন্য নতুন এসল্ট রাইফেল এডপশনের অংশ তুরষ্কের তৈরী ৭.৬২মিঃমি এর MPT-76 এসল্ট রাইফেলের ট্রায়াল চলছে দেশে। দেখা যাক তুর্কী এই রাইফেল আমাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে কিনা।