জল্পনায় আরেক সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নামও রয়েছে। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে পদটি শুন্য রয়েছে। ২০০৮-এ নির্বাচনের আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চৌদ্দ দলীয় জোট গঠিত হয়। এই জোটে ছিল আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ(ইনু), এলডিপি সহ আরও ছোট ছোট নয়টি দল। নির্বাচনের আগে কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি জোট ত্যাগ করে। এরপর স্বতন্ত্র দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাশেদ খান মেনন। পরে তিনি পর্দার আড়ালের খেলায় নিশ্চুপ হয়ে যান। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র বলছে এই মেয়াদে মন্ত্রীসভায় জোটের আর কোন প্রতিনিধিত্ব থাকছেনা।
যদিও রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এটাতো প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়েছে। জোটের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এখন বুড়িগঙ্গায় অনেক পানি গড়িয়ে গেছে। কতকিছু বদলে গেছে। ব্যর্থতার পাল্লাও ভারি হয়েছে। যাইহোক জোট আছে। হয়তো থাকবে। তবে এখন আর কোনো চমক যে নেই এটা বলতে পারি।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় আসে। এরপর থেকে জোটটি ক্ষমতায় রয়েছে। টানা দুই মেয়াদে মন্ত্রীসভায় জোটের প্রতিনিধিত্ব ছিল। বিগত নির্বাচনের পর থেকে এককভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার চলছে। এ নিয়ে জোট শরিকরা মাঝে মধ্যে প্রকাশ্যে উষ্মা প্রকাশ করেন। কৌশলে ব্যর্থতার দায় আওয়ামী লীগের উপর চাপান।