বরগুনার বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের ১৩ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে আসামী করে বামনা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ মামলার আসামী হলেন, একই গ্রামের সুলতান প্যাদার ছেলে মো: বাবুল প্যাদা(৩৫)। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার (১ জুলাই) বিকাল তিনটায়।
এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়ে মানসিক প্রতিবন্ধী। অনেক দিন ধরে বাবুল প্যাদা আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিলো। ঘটনার দিন আমরা কেউ ঘরে ছিলাম না। এই সুযোগে বখাটে বাবুল আমার ঘরে ঢুকে আমার প্রতিবন্ধী শিশুকে জোড় করে ধর্ষণ করে। মেয়ের ডাক-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এলে সে পালিয়ে যায়। এ সময় আমার প্রতিবেশী অনেকেই তাকে আমার ঘর থেকে বের হতে দেখেছে। এ ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসা করার জন্য প্রভাবশালীরা আমাকে দফায় দফায় প্রস্তাব দেয়। আমি মিমাংসা চাইনা। আমি চাই ওই ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হোক। আর যেন কোন নিষ্পাপ শিশু বখাটেদের লালসার শিকার না হয়।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে ভুক্তভোগী ওই শিশুটির পরিবার ঘটনাটি প্রথমে প্রকাশ করতে সাহস পায়নি বলে জানান ধর্ষিতার বাবা। অবশেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে বামনা থানায় মামলাটি দায়ের করতে সক্ষম হন।
একটি ছাগল নিয়ে বিরোধের কারণে প্রতিপক্ষ আমাকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই প্রতিবন্ধী শিশুটির বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা যথা নিয়মে মামলা নিয়েছি। তবে ঘটনার পর থেকে আসামী পলাতক রয়েছেন। আসামীকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।