গমাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় চট্টগ্রাম শহর ও জেলায়, করোনা রোগিদের জন্য সরকারি- বেসরকারি হাসপাতাল সমূহে গড়ে উঠা অবকাঠামো বর্তমানে একটি ভালো অবস্থানে চলে এসেছে বলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তাঁর ফেসবুক পেইজে পোষ্টে উল্লেখ করেছেন।
ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত আজ অব্দি তথ্য অনুসারেঃ
১। করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও এর উইং হিসেবে পরিচালিত বেসরকারি অবকাঠামো পুরাতন হলি ক্রিসেন্ট মিলিয়ে প্রায় ৭০টি বেড এখনো খালি। জেনারেল হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ও প্লান্ট নির্মাণ সম্পন্ন হলে প্রায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অবকাঠামো প্রস্তুত থাকবে, যেখানে, অক্সিজেন দরকার এমন রোগীর চিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করা যাবে। ভেন্টিলেটর সাপোর্ট প্রায় ১৮টি দেয়া যাবে।
২। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ শয্যার ব্যবস্থা আর আইসিইউতে আরো প্রায় দশটি শয্যার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ টি বেড এখনো খালি আছে।
৩। রেলওয়ে হাসপাতাল ও সদ্য প্রস্তুতকৃত চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ৮০টি বেড এখনো খালি আছে।
সরকারের সহযোগিতা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহের মধ্যে,
১। চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল
২। মা ও শিশু হাসপাতাল
৩। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ইউএসটিসি
এইসব হাসপাতালগুলোর সব মিলিয়ে ৭০টি বেডের উর্ধে এখনো খালি আছে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলোর অনেকগুলোতে করোনা রোগি ভর্তি আছে, এবং বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে মনিটরিং চলছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সক্ষমতা সাপেক্ষে রোগিদের নিয়মিত ভর্তি করাচ্ছে।
পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালের বাইরেও বেসরকারি উদ্যোগে করোনা রোগিদের সুবিধার্থে অনেক আইসোলেশন সেণ্টার গড়ে উঠেছে, যেগুলোতে ডাক্তার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ইত্যাদির পর্যাপ্ত যোগান আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য,
১। মুক্তি আইসোলেশন সেণ্টার (মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী),
২। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন,
৩। হালিশহর চট্টগ্রাম আইসোলেশন সেণ্টার,
৪। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, সিটি আইসোলেশন সেণ্টার
৫। পতেঙ্গা-ইপিজেড এলাকা আইসোলেশন সেণ্টার
এইগুলোর মধ্য প্রায় ৫৫০টি বেডের ব্যবস্থা আছে।
তবে রোগী ভর্তি না থাকায় সব মিলিয়ে এখনো সকল আইসোলেশন সেণ্টার সমূহের সক্ষমতার সর্বমোট ১০% এর বেশিও ব্যবহৃত হচ্ছেনা।
এই অবকাঠামোর পাশাপাশি ডোর টু ডোর গৃহভিত্তিক হোম অক্সিজেন, ডাক্তার, নার্স ইত্যাদি সেবার ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, যা প্রচুর করোনা রোগীর চাহিদা পূরনে সক্ষম। বেসরকারি অনেক দাতা, কোম্পানি, রাজনৈতিক কর্মী, ব্যবসায়ী হাই ফ্লো নেজাল কেনোলা, সিলিন্ডার, ইত্যাদি দান করেছেন।
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ি মৃত্যুর সংখ্যা পুরো জেলা ও শহর মিলিয়ে ২% এর কম, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫% এর উর্ধে, যুক্তরাজ্যে প্রায় ১২%
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন,চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে প্রাথমিক পর্যায়ে ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সঞ্চারিত করা হয়, যার দরুন, সার্বিক গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা কিছুটা বিঘ্নিত হয়। এখন এই অবস্থার অনেক উত্তরণ হয়েছে। চট্টগ্রামে আমরা সৃস্টিকর্তার দয়ায় মৃত্যুহীন কিছু দিনও দেখছি। তাই সকলের প্রতি আহবান সামনের দিনগুলোতে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, জীবন ও জীবিকা দুটিই আমাদের করোনা মোকাবেলার সাথে সাথে রক্ষা করতে পারবো।
আমাদের মত দেশে উন্নত রাষ্ট্রের চাইতে মৃতের সংখ্যা এখনো অনেক কম, তবুও এক শ্রেনীর লোক প্রতিদিন হা হুতাশ করে চলেছে, একদিন লকডাউন দাবী করে আরেক দিন সবকিছুতে ছাড় চায়, আবার আরেক দিন চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হয়েছে করোনায় এই ধরনের প্রচারও করে চলছে।
হ্যা, করোনায় অনেকের মৃত্যু হবে, এটাও মানতে হবে। আমাদের অনেকেই ঘুরে বেরিয়েছি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সামাজিক অনুষ্ঠানে ভীড় করেছি, করোনা সংক্রমিতও হয়েছি। এর প্রায় বেশিরভাগই নিজের দোষেই! করোনা নিজেই পায়ে হেটে, বা কারো কথায় আমাকে সংক্রমিত করেনি। আমাদের কারনেই হঠাৎ সংক্রমণ হার বেড়েছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ উন্নত দেশ শতভাগ নিয়ন্ত্রণের আশেপাশেও যেতে পারেনি। মৃত্যুর সংখ্যা বিশাল। মানুষের হায়াত-মউত সবই উপর ওয়ালার হাতে। তবে প্রশ্নটি হলো আমরা আমাদের সর্বোচ্চ করেছি কি না। বাংলাদেশের মত দেশে আমেরিকার চিকিৎসা সেবা দাবী করা অনেকের আবার মৃত্যুর সংখ্যা আমেরিকার ধারে কাছেও না যাওয়ায় মনে কষ্ট আছে।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশটা অনেক এগুনোর পরে একটি মানব নিয়ন্ত্রণহীন মহামারীকে পুজি করে কিছু জল ঘোলাকারীর আলোচনা সমালোচনার সঠিক জবাব সময়েই দেবে।
আমি ধন্যবাদ দিতে চাই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, এত কম সময়ের মধ্যে একটি টেকসই গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমাদের প্রয়োজনে কাজ করছে এবং আমরা এর সুফল দেখছি। আপনার, সাহসী নেতৃত্বে আমরা মোকাবেলা করবো করোনাসহ যেকোনো দূর্যোগ।
প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যত দিন আপনার শক্ত হাতে থাকবে এই দেশ, পথ হারাবেনা বাংলাদেশ। জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু