এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর অবশেষে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জাহাজ থেকে নামার অনুমতি দিল ইতালি। গত শুক্রবার উদ্ধারকারী জাহাজ ‘দ্য ওশিন ভাইকিং’ যাত্রী-ক্রু উভয়েরই নিরাপত্তা ঝুঁকি বিবেচনায় জরুরি সতকর্তা জারি করেছিল।
সোমবার এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সিসিলিতে একটি সরকারি জাহাজে স্থানান্তর করা হবে। সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে তাদের।
গত ২৫ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে চার ভাগে লিবিয়া থেকে আসা ১৮০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে এসওএস মেডিটেরেন্স গ্রুপ পরিচালিত জাহাজ ‘ওশিন ভাইকিং’। এদের মধ্যে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরিত্রিয়া, নাইজেরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ২৫টি শিশু এবং দুইজন নারী রয়েছেন। এর মধ্যে এক নারী অন্তঃসত্ত্বা।
উদ্ধারকারী জাহাজটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ইতালি বা মাল্টায় নামানোর অনুমতির অপেক্ষা করছিল। অবশেষে ইতালি সেই অনুমতি দিল।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সময় যত গড়াচ্ছিল, তীরে পৌঁছানোর জন্য যাত্রীরা ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছিল। অনেকেই দেশের বাড়ি খবর পাঠাতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
জাহাজের এক যাত্রী জানিয়েছেন, সেখানে বেশ কয়েকবার মারামারি হয়েছে, অনেকেই আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
উদ্ধারকারী জাহাজ থেকে নামার অনুমতি প্রসঙ্গে রবিউল নামে ২৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত! আমরা অনেক দূর এসেছি, লিবিয়া ছিল জাহান্নামের মতো। এখন অন্তত শেষটা দেখতে পাব। আমার পরিবারকে জানানো দরকার যে, আমি এখনও বেঁচে আছি।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্যমতে, গত বছর ১ লাখ ১০ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ২০০রও বেশি মানুষ।