পুঁজিবাজারকে গতিশীল ও উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ছয়টি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। আজ বৃহস্পতিবার আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট ডিজিটাল মাধ্যমে পেশ করার সময় এ বিষয়ে তুলে ধরা হয়। পদক্ষেপগুলো হচ্ছে: পুঁজিবাজারে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ বাড়ানো, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পর্যালোচনা,
আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়ানো, পুঁজিবাজারে আস্থা বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাজারে মানসম্পন্ন আইপিও বাড়াতে বহুজাতিক ও সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া। এছাড়া বন্ড মার্কেট শক্তিশালী করার জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে উৎসে কর সমন্বয় করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট বিকাশের জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর আলোকে বন্ড লেনদেন মূল্যের উপর উৎসে কর কর্তনের পরিবর্তে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক লেনদেনে নির্ধারিত কমিশনের উপর উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি। এছাড়া বন্ডের সুদ ও বাট্টার উপর উৎসে কর কর্তনের বিধান বাতিল করে সুদ ও বাট্টা পরিশোধকালে উৎসে কর কর্তনের প্রস্তাব করছি। এতে পুঁজিবাজারে বন্ডের লেনদেন বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী এই চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। পুনরায় শেয়ারবাজারে তারল্য সংকট দূর করতে বেসরকারি ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়াতে প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক কর্তৃক ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসেবে আওতাবহির্ভূত রাখার বিধান করা হয়েছে।