কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম স্পর্শকাতর বিষয় হচ্ছে সারা দেশে পরিচালিত গণহত্যা ও নির্যাতন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা ও বিদ্যানগর গ্রামেও ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয় গণহত্যা। করিমগঞ্জ উপজেলার স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী এবং উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদের ভাতিজা এবং করিমগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবালের ছেলে তানভীর সালেহীন ইমন তার এলাকার একাত্তরের গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ নিয়ে গবেষণা গ্রন্থ “আয়লা ও বিদ্যানগর গণহত্যা” রচনা করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে, গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র ১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট এর উদ্যোগে,
দেশবরেণ্য ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের তত্ত্বাবধানে ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মামুন সিদ্দিকীর নির্বাহী সম্পাদনায় মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টারি গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়।
গ্রন্থটিতে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি, গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ, শহীদদের সনাক্তকরণ, নির্যাতনকারী রাজাকার – আলবদরদের পরিচিতি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শহীদ পরিবারের জীবন সংগ্রাম, শহীদের স্মৃতি সংরক্ষণে লেখকের কিছু প্রয়াস চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রগতিশীল মুক্তিযোদ্ধা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ইমন ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত। জাতীয় পর্যায়ে শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জাতীয় টেলিভিশন বিতার্কিক ছিলেন। তিনি উপস্থাপনা লেখালেখি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে ছাত্রজীবন থেকেই সম্পৃক্ত।
করিমগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী সংস্কৃতিকর্মীসহ সকল স্তরের মানুষের কাছে তানভীর সালেহীন ইমন ইতোমধ্যে প্রিয়ত্ব অর্জন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রশ্নে আপোষহীন ইমন দক্ষতা ও সততার সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক, আইজিপি ব্যাজ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সেরা সার্কেল, এক্সিলেন্স এওয়ার্ড সহ কুমিল্লা জেলায় ২৩ বার সেরা সার্কেল অফিসারের পুরস্কার পান।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ করার বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন – বিবেকের দায়বদ্ধতা, চেতনা ও আদর্শের অনুভূতি থেকেই বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আমার আগ্রহ।
সআমরা যাদের রক্তে ও ত্যাগে দেশ পেলাম তাঁদের বিষয়ে অবশ্যই জানতে হবে এবং অন্যদের জানাতে হবে। এলাকার শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণে আমার একটি পরিকল্পনা আছে এবং শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন শুরু করবো।