প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচি এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণের তালিকায় অনিয়ম এবং চাল আত্মসাতের অভিযোগে আরো দুইজন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও এক সদস্যকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ১০৭ জন প্রতিনিধি বরখাস্ত হলেন।
সরকারি নিয়ম-নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির ১৯৮ জন উপকারভোগীর নিকট হতে বিবিধ ট্যাক্সের নামে ২৮০ টাকা হারে অর্থ আদায়ে অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম রুপম এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির হতদরিদ্রদের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম, নিয়মবর্হিভূতভাবে ডিলারকে দিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা, মৃত ব্যক্তিকে ও একই ব্যক্তির নাম একাধিকবার অন্তর্ভুক্ত এবং বরাদ্দকৃত চাল সঠিক ব্যক্তির মাঝে বিতরণ না করার অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলার ১১ নম্বর গজনাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়াার্ডের সদস্য উত্তম বিশ্বাসকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখিত সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৬৬ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, ৪ জন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।