বিশ্ব সভ্যতার ক্রমরূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা এমনটি জেনেছি যে, মানুষ আগুনের যুগ বা পাথরের যুগের মতো আদিযুগ অতিক্রম করে কৃষিযুগে পা ফেলে। আদিযুগে মানুষ প্রধানত প্রকৃতিনির্ভর ছিল। প্রকৃতিকে মোকাবেলা করতো সে এবং প্রকৃতিকে নির্ভর করেই তার জীবন যাপিত হতো। বস্তুত কৃষিযুগ ছিল মানুষের সৃজনশীলতার প্রথম ধাপ যখন সে উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। সে জ্ঞান অর্জন করে কেমন করে বীজ বপন করতে হয়, তার থেকে চারা ও বৃক্ষ হয় এবং সেই বৃক্ষের ফল সে নিজে খাবার জন্য ব্যবহার করতে পারে।
দিনে দিনে সে প্রযুক্তি আয়ত্ত্ব করে। গাছে পানি দিলে তার বৃদ্ধি ঘটে, সার দিলে সে বেড়ে ওঠে ইত্যাদি; তার শেখা হয়। সে শিখে, মাটি কর্ষণ করলে ফসলের ফলন বাড়ে। সেচ আর সার দিলে ফলন আরও বাড়ে। দিনে দিনে সে ফসলের বৈচিত্র্য আনতে পারে এবং তার কৃষিজ্ঞানের নিরন্তর বিকাশ ঘটে। এরপর অষ্টাদশ শতকে ইংল্যান্ডে যান্ত্রিক যুগ বা শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। সেটিকে এখন সবাই শিল্প বিপ্লবের প্রথম স্তর বলে চিহ্নিত করে।
অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আমরা যারা দুনিয়ার ডিজিটাল বিপ্লব, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ডিজিটাল সমাজ, সৃজনশীল অর্থনীতি, ডিজিটাল অর্থনীতি, ই-দেশ, ইউবিকুটাস দেশ ইত্যাদি বলছি তাদেরকেও বুঝতে হবে নতুন প্রযুক্তিসমূহ বিশ্বকে একটি অচিন্ত্যনীয় যুগে নিয়ে যাচ্ছে। এখনই এইসব প্রযুক্তিসমূহের অতি সামান্য প্রয়োগ সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবার ঘটনা ঘটাচ্ছে। আগামীতে আমরা এসব প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে পারবো কিনা সেটিই ভাবনার বিষয়।
তবে অতি সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এক বক্তব্যে শুনেছিলাম আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রথম দুজন ব্যাক্তি একজন জাতির পিতার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় অপরজন চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের আলোকিত পরিবারের আলিকিত সন্তান দেশের খ্যাতনামা আইটি বিশেষজ্ঞ মাহবুব রহমান রুহেল।
আজ তাঁর এই শিভ জন্মদিনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও মীরসরাই উপজেলা শাখার পক্ষথেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শুভেচ্ছা জিনিয়েছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক ও মীরসরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাসান।
তিনি আজকের এই শুভদিনে জাতির পিতার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতধরে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আজ যখন দৃশ্যমান, আজ ডিজিটাল যুগের সুফল পাচ্ছে বাংলা ও বাঙ্গালী সেই সময়ে আজকের এই দিনে জন্ম নেয়া মাহবুব রহমান রুহেল আজকের ডিজিটাল বাংলা গড়ার প্রথম দুই কারিগরদের একজন আর আমি ঐ আলোকিত সন্তানের এলাকার অধিবাসী হিসেবে বেশ পুলকিত। আল্লাহ্ তাঁকে নেক হায়াত দান করুন। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলা গড়ায় সফলতা দান করুন।