বিশ্বমানের সর্বাধুনিক আইসিইউ ইউনিট তৈরি করছে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। ৪১ শয্যা বিশিষ্ট এই আইসিইউ ইউনিটের মধ্যে করোনা রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ আলাদাভাবে ১৫ শয্যার একটি ইউনিট করা হচ্ছে।
হাসপাতালটির দক্ষিণ পার্শ্বে এই করোনা আইসিইউ ইউনিট তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। একইসাথে করোনা ইউনিটের ভিতরে প্রবেশ ও বের হবার দরজা সম্পূর্ণ আলাদা। মূল হাসপাতালের সাথে এর কোনো সম্পর্কই থাকবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। আগামী কোরবানীর ঈদের আগেই এই করোনা আইসিইউ ইউনিটের উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
তিনি জানান, নীচতলায় আলাদাভাবে ১৫ সিটের এই করোনা আইসিইউ ইউনিট ছাড়াও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চার তলায় ২৬ শয্যাবিশিষ্ট আরো দু’টি ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। তারমধ্যে ১৮ সিটের বিশ্বমানের সর্বাধুনিক কিডনি ট্রান্সফারেন্ট একটি ইউনিট করা হচ্ছে। এতে বিশ্বের সেরা কিডনি ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা কাজ করবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বড় বড় হাসপাতালের প্রশিক্ষিত নার্সরাও থাকবেন তাদের সঙ্গে।
তাছাড়া এই কিডনি ট্রান্সফারেন্ট ইউনিটে বর্তমান সময়ের অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক (কম্পোটারাইজড) বেড ছাড়াও ব্যাংকক কিংবা সিঙ্গাপুরের হাসপাতালগুলোতে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট রোগীরা তার চেয়েও বেশি সুবিধা পাবেন বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ। তিনিও এর আগে যুক্তরাজ্যের লন্ডন, সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিটের দায়িত্ব পালন করেছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিশ্বমানের এত সুযোগ-সুবিধা থাকার পরেও চিকিৎসা ব্যয়টা রোগীদের ব্যয় ক্ষমতার ভিতরেই হবে। যা রাজধানীর সবচেয়ে উন্নতমানের হাসপাতালগুলোর থেকে এক তৃতিয়াংশেরও কম। বাংলাদেশের কোথাও এত কম খরচে চিকিৎসা করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।