সাম্প্রতিক শিরোনাম

আমরাই দূর্নীতিবাজদের ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয় : প্রধানমন্ত্রী

অনিয়ম-দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না বলে আবারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়। দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িতদের আমরা ধরে যাচ্ছি। তবে এদের ধরে যেন আমরাই চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরা ধরার পর আমাদের দোষারোপ করা হয়। তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই অনিয়মগুলো আমরা নিশ্চয়ই মানবো না। যে যাই হোক তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি, নেব এবং এটা অব্যাহত থাকবে।’

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বলেন।  করোনা মোকাবিলায় সরকার ও তার দল আওয়ামী লীগের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার-নার্সদের সুযোগ সুবিধা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাক্তার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে যথেষ্ট বেড এবং সব রকম সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডাক্তার নার্স যারা কাজ করছে এবং টেকনিশিয়ানদের পরিবার থেকে আলাদা করে রাখার জন্য হোটেল ভাড়া করে থাকা-খাওয়া সব দিয়ে রাখা হচ্ছে। সেখানে খরচ তো হবেই।সংসদ নেতা বলেন, তারা সমাজকে কলুষিত করে দিয়ে গেছে। মানুষ যে একটা আদর্শ নিয়ে চলত নীতি নিয়ে চলত। দীর্ঘ দিন এই দেশে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ এদেশের মানুষের চরিত্র হনন করেছে। কারণ তাদের অবৈধ ক্ষমতাটাকে নিষ্কন্টক করা- এটাই ছিল তাদের লক্ষ্য।

সেখানে এইভাবে বছরের পর বছর এই বীজগুলি, দুর্নীতির বীজ। এই বীজটা বপন করেছে। এটা এখন মহিরুহ হয়ে গেছে, আপনি যতই কাটেন আবার কোথা থেকে গজিয়ে ওঠে। কারণ মানুষের চরিত্রটাই নষ্ট করে দিয়ে গেছে। সেই ক্ষেত্রে এই চরিত্রহীণ্যতা একেবারে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ছিল। সেখানে থেকে যতই চেষ্টা করেন এটা মূল উৎপাটন করা যথেষ্ট কঠিন। তারপরেও এরমধ্যে যে খবরগুলো পাচ্ছেন, বলছেন এটা কারা করছে? আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর কে কোন দলের সেটা বড় কথা নয়। কে এ ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত অনিয়মের সাথে জড়িত, আমরা যাকেই পাচ্ছি, যেখানেই পাচ্ছি আমরা ধরছি। আবার ধরছি বলেই.. চোর হয়ে যাচ্ছি। আমরাই ধরি আবার আমাদেরকেই দোষারোপ করা হয়। এটাই হচ্ছে দুর্ভাগ্য। এর আগে তো দুর্নীতিটাই নীতি ছিল।

অনিয়মটাই নিয়ম ছিল, অনিয়মটাই নিয়ম ছিল সেভাবেই রাষ্ট্র চলেছে। তিনি বলেন, আমরা আসার পর আওয়ামী লীগ আসার পর সেগুলো মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি; যতটুক পারি সেগুলো শুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আগেই বলেছি আমরা এ অনিয়মগুলো নিশ্চই মানব না। যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং নেব এটা অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...