দেশে বছরে প্রায় ৫০ লাখ ম্যাট্রিক টন রডের চাহিদা রয়েছে। ১৫০টি রি-রোলিং মিল এবং ২৫টি অটো স্টিল মিল রয়েছে দেশে। এসব মিলে বছরে রড উত্পাদিত হয় প্রায় ৭৫ লাখ ম্যাট্রিক টন। বাংলাদেশে রড উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম), সালাম স্টিল কনকাস্ট রি-রোলিং মিলস প্রাইভেট লিমিটেড (এসসিআরএম), চাকদা স্টিল অ্যান্ড রি-রোলিং মিলস প্রাইভেট লিমিটেড (সিএসআরএম), কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম), রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম), জিপিএইচ ইস্পাত, আনোয়ার ইস্পাত, রহিম স্টিল মিলস, শাহরিয়ার স্টিল মিলস লিমিটেড (এসএসআরএম), জহির স্টিল অ্যান্ড রে-রোলিং মিলস লিমিটেড (জেডএসআরএম) প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বেশ নাম করেছে। এই শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে চার শতাধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে রড। এর মধ্যে ৩০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রড তৈরি করে থাকে।
আর এই রড তৈরির অন্যতম উপকরণ বা কাঁচামাল স্ক্র্যাপ বা বিলেট। আন্তর্জাতিক বাজার থেকে স্ক্র্যাপ বা এ বিলেট আমদানি করেন রড প্রস্ততকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন রড ও রডজাতীয় পণ্য তৈরির কারখানাগুলো নিজেরাই পুরনো লোহা গলিয়ে বিলেট উত্পাদন করছে। নতুন নতুন বিনিয়োগে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। এতে বিলেট আমদানি কমে স্বনির্ভর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ।
এদিকে গতকাল বিকেল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময়
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম) লিমিটেডের চট্টগ্রামের কারখানা থেকে একটি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার করেছেন জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
জোরারগঞ্জ থানা সূত্রের বরাতে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ,চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় বিএসআরএম স্টিল মিলস লিমিটেডের কারখানায় স্ক্র্যপের কাচামালের সঙ্গে একটি তাজা গ্রেনেড দেখেতে পায় শ্রমিকরা।
গ্রেনেড দেখতে পেয়ে শ্রমিকরা সঙ্গে সঙ্গে জোরারগঞ্জ থানাকে খবর দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে দেখে এটি একটি তাজা গ্রেনেড। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজমকে জানান।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা একপর্যায়ে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে রাতে সেটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।
এবিষয়ে বিএসআরএম এর প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে সেখানকার এডমিন শাখার কর্মকর্তা হাছান নামের একজনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, বিএসআরএম এর ঐ কারখানটির জন্য ইতিমধ্যেই বিদেশ থেকে ৪/৫ লাখ টন স্ক্র্যাপ আমদানি করে নিয়ে আসা হয়। আমদানিকৃত স্ক্রাপগুলো বিভিন্ন প্রকারভেদে বাছাই করার সময় শ্রমিকদের নজরে গ্রেণেড সদৃশ বস্তুটি নজরে পড়ে।তখন তারা কারখানার কর্মর্কর্তাদের জানালে তাৎক্ষণিক কর্মকর্তাদের পক্ষ হতে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানাকে অবহিত করাহয়।থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গ্রেণেড শনাক্ত করে কাউন্টার টেররিজম ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে রাতেই তা নিস্ক্রিয় করা হয়।
প্রসঙ্গত ঐ আমদানিকৃত ৪/৫ লাখ টন স্ক্রাপের মধ্যে এখনো বাছাইয়ের বাকি রয়েছে অনেক। শ্রমিক ও স্থানীয়দের শংকা তাতে কি আরো এরকম গ্রেণেড মিলবে? আরও শংকা তৈরি হয় যে বিদেশ কোন পক্রিয়ায় কিভাবে এ স্ক্র্যাপ আসে তা অনেকেরই অজানা। আর তাতেই শংকা এরকম স্ক্র্যাপে গ্রেণেড বা অস্ত্র আসার সম্ভাবনা থেকেই যায়।