মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন: ২৯ নভেম্বর শুক্রবার ২০১৯ ইং তারিখ বিকাল দু’ঘটিকায় ঐতিহাসিক সীতাকুন্ড সরকারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সফল মন্ত্রী – জননেতা ইন্জিঃ মোশারফ হোসেন এমপি। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। প্রধান বক্তা থাকবেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জননেতা এম এ সালাম। সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইসহাক। পরিচালনা করবেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া।
অতিথি থাকবেন জেলা এবং উপজেলা নেতৃবৃন্দগণ। সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীগণ প্রতিটি ওয়ার্ড ইউনিয়নে চষে বেড়াচ্ছেন তৃনমূলের নেতাকর্মীদের সমর্থন লাভে। ইতিমধ্যে যার যার অবস্হান/ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ ব্যানার- লিপলেট ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীগণ সীতাকুন্ডের আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। প্রতিদিনই কোন কোন ইউনিয়ন/ পৌরসভা/ ওয়ার্ডে সম্মেলন সফল করবার লক্ষ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জননেতা আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া দৈনিক তিন চারটা কর্মীসভা করে চলেছেন গত প্রায় সপ্তাহকাল ধরে। সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এস এম আল মামুন, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইসহাক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ ইদ্রিছ। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষনা করেছেন সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ১ নং সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম নিজামী, যুগ্ন সম্পাদক ও ২ নং বারৈয়াঢালা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রেহান উদ্দীন ও সাংগঠনিক সম্পাাক ও ৬ নং বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শওকত আলী জাহাঙ্গীর। তৃনমূলে বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী যারা কাউন্সিলর এবং ডেলিগেট থাকবেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯৯ জন স্হানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে গোপনীয়তা রক্ষার স্বার্থে একটি জরীপ আমাদের প্রতিনিধি মুহাম্মদ ইউসুফ খাঁন অত্যন্ত চৌকশ ও কৌশলে পরিচালনা করেছেন।
২৯ নভেম্বর শুক্রবার কাকেই আপনি সীতাকুন্ত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে যৌগ্যতম মনে করছেন? এমন উত্তরে ৫১ জনের মতে আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াই হবে সভাপতি। তাদের মতে, আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া ছাত্রনেতা থেকে আওয়ামীলীগ নেতা। সুদীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি রাজপথের নেতা। গত ২৬ বছর ধরে তিনি সীতাকুন্ড উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সংগঠন পরিচালনা করছেন। সংগঠন চালাতে গেলে বদনাম বা ভূল ত্রুটি থাকবে। যারা কাজ করে তাদের ভূল হওয়াটা স্বাভাবিক। যারা কাজ করে না তাদের ভূল চোখে পড়বেনা এটাই তো স্বাভাবিক। তারা বলেন, সীতাকুন্ডের সাবেক সাংসদ – সীতাকুন্ডের মাটী ও মানুষের নেতা মরহুম এ বি এম আবুল কাশেম এমপির মৃত্যূর পর সীতাকুন্ডের
একমাত্র যোগ্য অভিভাবক দাবীদার – হকদার আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া। মরহুম আবুল কাশেম মাস্টার ৫ বার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে দু’বার এমপি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। সে প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া দীর্ঘ ক্যারিয়ার যোগ করলে তার সংসদে থাকবার কথা। তাঁর অনেকটা নিশ্চিত মনোনয়নও কেঁড়ে নেয়া হ’ল অর্থ প্রতিপত্তির জোরে। রাজনীতিতে বিনা পূঁজি বিনা অবদানে কেহ কেহ আজ এমপি অথচ আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া ৪০ বছর আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগকে নেতৃত্ব দিয়েও কি তিনি সভাপতি হবেন না? অবশ্যই তিনি সভাপতির সম্পূর্ণ যোগ্যতা রাখেন। তাঁর মত ত্যাগী নিবেদিত ও মুজিবপ্রেমিক নেতার দাবী নয় এটিই তার অধিকার। এমন যুক্তি খন্ডনে তার পক্ষে ৫১ জন তৃনমুল নেতা জরীপে ভোট দিয়েছেন। সভাপতি প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সীতাকুন্ডের আমৃত্যূ সভাপতি সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাশেম মাস্টারের যোগ্য জৌস্ট্য পূত্র আলহাজ্ব এস এম আল মামুনের পক্ষে জরীপে পক্ষে ভোট দিলেন ৩৭ জন। তার পক্ষে সমর্থনকারীদের বক্তব্য হ’ল তিনি সাবেক সংসদ সদস্য সীতাকুন্ডের গণমানুষের নেতা মরহুম এ বি এম আবুল কাশেমের যোগ্য উত্তরাধিকারী। বাবার যোগ্য আসনে কেবল তাকেই মানায় এমন দাবী সমর্থকদের।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ইসহাকের পক্ষে ৬ জন ও মোঃ ইদ্রিছের পক্ষে ৫ জন তৃনমূল সমর্থক তাদের গোপন জরীপে ভোট প্রদান করে। দলীয় নেতাকর্মী নন কিন্তু আওয়ামীলীগ সমর্থন ছাড়া কিছুই বুঝেন না এমন ক’জন বয়োবৃদ্ধের সাথে আলাপচারিতায় যেটি উঠে আসে তা হ’লঃ আলহাজ্ব দিদারুল আলম এমপি হলেন, আলহাজ্ব এস এম আল মামুন সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আছেন, বাকের ভূঁইয়া যেহেতু ২৬ বছর দলকে অাগলে রেখেছেন তাহলে তাকেই সভাপতি দেয়া উচিৎ। তাদের মতে এমপিও আপনি- সভাপতিও আপনি/ উপজেলা চেয়ারম্যান আপনি – সভাপতিও আপনি – এমনটি উচিৎ নয়। এক জন এক জায়গায় থাকা উচিৎ বলে মন্তব্য প্রকাশ করেছেন বয়স্ক মুজিব প্রেমিক ক’জন। সব কিছুই নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় জেলার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও সংগঠনের উপজেলা ইউনিয়ন ওয়ার্ডের তথা তৃনমূলের ক্যারিশমাটিক স্বিদ্ধান্তের উপর।।