আজ বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী দিবস। উনিশশো একাত্তর সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমনের সূচনা করেছিলো। সশস্ত্র বাহিনী দিবস সাংবার্ষিক ভাবে একুশে নভেম্বর বাংলাদেশে যথাযোগ্য ভাব গম্ভীরতায় পালন করা হয়। সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি উপলক্ষে ডিপ্লোমেটিক জোনের অভ্যন্তরে অবস্থিত পাঁচতারকা হোটেল ম্যারিয়টে জাঁকজমক পূর্ণ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে দায়িত্ব পালনরত বিভিন্ন দেশের ডিফেন্স এ্যাটাচেগণসহ উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা স্বপরিবারে উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ সৌদি আরবের উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারাও ছিলেন আমন্ত্রিত। বাংলাদেশী কম্যুনিটির কিছু ব্যক্তিত্বও ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।কেক কেটে দিবসটির অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য পেশ করেন মান্যবর রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি সুশৃংখল সেনাবাহিনী উল্লেখ করে এই বাহিনীর উজ্জ্বল অর্জনগুলিকে তুলে ধরেন।
বিশেষ করে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পবিত্র দুই মসজিদ, মসজিদুল হারাম ও মসজিদুল নবুবীর ওপর কোন আঘাত এলে তা প্রতিরোধে লৌহদৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের সম্পর্ক গভীর থেকে আরো গভীর হবে। বাংলাদেশের নানা বিষয়ে সৌদি আরবের সহযোগিতার জন্য তিনি বাদশাহ সালমান, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বড় পর্দায় বাংলাদেশ সেনবাহিনীর বিরত্বগাঁথাসহ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও নানামুখী সম্ভবনার ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হয়। এক আন্তরিক নৈশ ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। মহতি এই অনুষ্ঠানে পরিবার সমেত উপস্থিত থাকতে পারায় আনন্দ অনুভব করছি।