আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের মরদেহ দেশে পৌঁছেছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজে সাহারা খাতুনের মরদেহ দেশে আনা হয়। এর আগে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে স্থানীয় সময় রাত ৯টায় ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি দেশের পথে রওয়ানা দেয়।
ইউএস-বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১টা ৩০ মিনিটে উড়োজাহাজটি ল্যান্ড করার কথা থাকলেও একটু দেরি হয়েছে।
শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ফ্লাই্টটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মরদেহ বুঝে নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
মরদেহের সঙ্গে ব্যাংকক থেকে সাহারা খাতুনের পিএ আনিসুর রহমানও আসেন। মরদেহ বুঝে নেওয়ার সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সাহারা খাতুনের পরিবার সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বুঝে নেন।
শনিবার সকাল ১১টায় বনানী কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে সাহারা খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে মায়ের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলে সারাবাংলাকে শুক্রবার রাতে জানান আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অসুস্থ সাহারা খাতুনকে গত ৬ জুলাই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়।
জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে গত ২২ জুন দুপুরে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়।
পরে ২৬ জুন সকালে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউ নেওয়া হয়।