বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম ও জেলার বিভিন্ন স্থানে করোনার বিস্তৃতি কমতে শুরু করেছে বলে প্রতীয়মান। নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার হার যেমন হ্রাস পেয়েছে, তেমনই করোনায় জটিল রোগীর সংখ্যাও কমেছে। চিকিৎসকদের বিভিন্ন সূত্রে জানানো হয়েছে, চট্টগ্রামে করোনার ফার্স্টওয়েভ শেষ হতে চলেছে। তবে আগামী তিনমাস পর সেকেন্ডওয়েভ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় তারা আশঙ্কিত।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪২৫ জনের। তারমধ্যে নতুন করে করোনা রোগ শনাক্ত হয়েছে ১০৫ জনের দেহে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৩৭ জন।আজ ১২ জুলাই রোববার সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নতুন আক্রান্ত হয়েছে ১০৫ জন। এদের মধ্যে নগরে ৬১ জন এবং উপজেলায় ৪৪ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ হাজার ৪৯০ আরু ১ জনের মৃত্যু নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ২১৬ জন। সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৭ জন এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৫ জন।
চট্টগ্রামের ৪ টি ল্যাব ৪২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১০২ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জন করোনা পজেটিভ রোগী শনাক্ত হয়। তার মধ্যে নগরীর ১৮ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ২৫ জন পজেটিভ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ১১৬ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয় আরও ২০ জন। এর মধ্যে নগরীর ১৩ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৭ জন পজেটিভ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৭৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১০ জন নগরীর ও ৪ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এছাড়া বেসরকারি শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১২৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জন শনাক্ত হয়। তার মধ্যে নগরীর ২০ জন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৮ জন পজেটিভ। এই দিকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বাসিন্দা।
কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ৩৭ জনই উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা আক্রান্ত শনাক্তের মধ্যে সাতকানিয়ার ১ জন, আনোয়ারা ১ জন, বাঁশখালীর ১ জন, বোয়ালখালী ১ জন, রাঙ্গুনিয়া ১ জন, রাউজান ১ জন, ফটিকছড়ি ১ জন, হাটহাজারী ২৫ জন, সীতাকুণ্ড ৩ জন, মীরসরাই ৩ জন এবং সন্দ্বীপ ৩ জন।