সিলেটের ওসমানীনগরে দীর্ঘদিন ধরে লম্পট বাবার লালসার শিকার হয়ে আসছে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদারা (নোয়াগাঁও) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে মেয়েটির পিতা মাসুক মিয়া (৪২) পলাতক ছিলেন। পরে গোপন তথ্যে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ওসমানী নগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরীটির চাচি ওসমানীনগর থানায় মামলা করেছেন।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। গত রমজানে ছুটিতে বাড়ি এসে প্রায় দেড় মাস অবস্থান করে। এ সময় তার বাবা মেয়েকে একা পেয়ে একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেন। মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিলেও পিতার কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি সে। কিন্তু মাসুক মিয়া তার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করেন।
পরের দিন ঘুম থেকে উঠে মেয়েটি বুঝতে পারে। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েটি আবারো মাদ্রাসায় ফিরে যায়। পরবর্তী সময়ে ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি এলে আবারো তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় কিশোরীটির বাবা।
এতদিন ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত মঙ্গলবার শিশুটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বড় চাচিকে জানায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে চাচি কিশোরীটিকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক থাকে মেয়েটির বাবা। পরে ওসমানী নগর থানা পুলিশের অভিযানে মেয়েটির বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী চাচি বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে মেয়েটির মা ৪ কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তার বাবা আরও দুটি বিয়ে করে। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরের বিয়েগুলো ভেঙে যায়। নির্যাতিত মেয়েসহ তারা ৩ বোন মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করছে এবং ছোটটি আমার কাছে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফিরে এসে রাতে ঘুমানোর জন্য মেয়েটি তার বাবার সাথে থাকতে অসম্মতি জানায়। কারণ জানতে চাইলে, বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে যাই। পরে পুলিশের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরর পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক পিতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।