শুরু হচ্ছে চীন বাংলাদেশ যৌথ ভাবে পূর্বাচল নতুন মেগাটাউন গড়ে তোলার প্রজেক্ট।
চীনের একটি কোম্পনি পূর্বাচলকে দেশের প্রথম স্মার্টসিটিতে রুপ দেয়ার প্রধান কাজ করবে। এর ভেতর একটা মেগাপ্রকল্পের কাজ হবে শুধু পানি সরবরাহ নিয়েই। মেঘনা নদী থেকে পানি এনে পুর্বাচলের নতুন শহরের চাহিদা মেটানো হবে। চীনের ইউনাইটেড ওয়াটার কর্পোরেশন বাংলাদেশের ডেলকট ওয়াটার লিমিটেডের সাথে যৌথভাবে এবং পিপিপি ভিত্তিতে এই প্রকল্প করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
৬,১৫০ একর বা প্রায় ২৫ বর্গ কিলোমিটার জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে দেশেএ প্রথম আধুনিক পরিকল্পিত এই নতুন রাজধানী। এই শহরে অনেক গুলি মেগা অবকাঠামো থাকবে যার ভেতর রয়েছে international exhibition center যেটার কাজ ও একটি চীনা প্রতিষ্ঠান করছে।
চীন বাংলাদেশে ইতোমধ্যে $১০ বিলিয়ন ডলারের সমান বিভিন্ন অবকাঠামোর কাজ করছে। বাংলা টাকায় ৮৫,০০০ কোটি টাকা প্রায়।
এদেশে সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র, সড়ক, সেতু থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের অবকাঠামো প্রজেক্টে চীনের উপস্থিতি রয়েছে।
পদ্মা সেতুর অর্থায়ন না করলেও নির্মাণে চীন যুক্ত রয়েছে। ইন্ডাট্রিয়াল জোন নির্মান করছে তারা। সেই থাকে ৮ম চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, আন্তর্জাতিক এক্সিবিশন সেন্টার, পায়রা কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল, বে টার্মিনাল, পায়রা বন্দর, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প, পদ্মা থেকে পানি এনে ঢাকায় সরবরাহ প্রকল্প থেকে শুরু করে অনেক প্রকল্পে চীন এখন প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশে উপস্থিত।
তবে সাম্প্রতিক যে প্রকল্পের জন্য ভারত এর মাথা ব্যাথা সেটা হল এই অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সাবমেরিন বেজ কক্সবাজারে করার কাজ করছে চীন।
যদি বাংলদেশে চীনের উপস্থিতির সাথে ভারতের উপস্থিতির তুলনা করি তাহলে বিষয়টা একেবারেই একপেশে হয়ে যায়। প্রতিবেশি দেশ হয়েও বাংলাদেশে ভারতের উপস্থিতি চীনের পাচ ভাগের এক ভাগো না। কন্ট্রাক কন্সট্রাকশনের বাজারে ভারত চীনের থেকে পিছিয়ে পড়ছে তার প্রতিবেশি দেশগুলিতেও। আর এই একি কারনেই আমেরিকাও বাংলাদেশ নিয়ে বেশ আগ্রহী।
আগ্রহী কেনই বা হবে না? আর হয়ত দুই দশক পর বাংলাদেশের বিশ্বের ২০০ দেশের ভেতর অর্থনীতিতে ২৫ এর নীচে অবস্থান করবে। হয়ত জি-২০ দেশেও ঢুকে যেতে পারে। সঙ্গত কারনেই আমেরিকাও এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
তবে বাংলাদেশের সব থেকে বড় প্লাস পয়েন্ট হল বাংলাদেশ চীন থেকে যেমন বিনিয়োগ আনতে পেরেছে একি ভাবে অবকাঠামোর বিশাল অংশের কাজে জাপানকেও যুক্ত করতে পেরেছে। শুধু মাতারবাড়িতেই জাপানের বিগ বি স্ট্রাটেজির অধিনে $২০ বিলিয়ন বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। চীনের দ্বারা নির্মিত অবকাঠামোর লিস্ট যেমন লম্বা ঠিক তেমনি জাপানের অবকাঠামোর লিস্ট ও লম্বা। আর চীন ভীতিতে ভারত ও বিনিয়োগ করতে এসেছে। হয়ত চীনের প্রভাব ক্ষুন্ন করতে আমেরিকাও বিশাল বিনিয়োগ আনবে। সেরকম ইঙ্গিত ইতোমধ্যে পাওয়া গিয়েছে।
সেই সাথে বার্মার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারনে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ ও এদেশে আসতেছে।
আমাদের এখন সব থেকে যেটা দরকার সেটা হল ব্যালান্সিং।