ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ ভবিষ্যতের যাবতীয় বিষয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটিকে দেখতে গিয়ে এই কথা জানান উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম। শিশু মাহিমার বাড়ি উপমন্ত্রী শামীমের নির্বাচনী এলাকা শরীয়তপুরের সখিপুরে।
রবিবার (১০ নভেম্বর) শিশু মাহিমা আক্তার বাবা মাইনুদ্দিনের জীবন ও মা কাকলি আক্তারের সাথে সিলেটে হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহপরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যায়। এ সময় মাহিমার সাথে তার মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়মও ছিল।
কিন্তু সোমবার (১১ নভেম্বর) সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু কসবায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মাহিমার মা, মামি ও মামাতো বোন মারা গেলেও প্রাণে বেঁচে যান শিশু মাহিমা।
দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে মাহিমাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার কোনো পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচয় খুঁজতে মাথায় ব্যান্ডেজ পেঁচানো রক্তাক্ত শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া হলে মুহূর্তের মধ্যেই তা ভাইরাল হয়। পরে শিশুটির বাবা মাইনুদ্দিন পরিচয় শনাক্ত করেন। এছাড়া স্ত্রী কাকলি আক্তার, মামি আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়মের লাশও শনাক্ত করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর শিশু মাহিমাকে আনা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। মাহিমা ছাড়াও সিএমএইচে কসবা দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মোট সাতজনের চিকিৎসা চলছে।
সকালে আহতদের দেখতে গিয়ে উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের মধ্যে সাতজনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় শিশু মাহিমার দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানান তিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, আহত শিশু মাহিমা তার মা হারিয়েছে, স্বজন হারিয়েছে। সে তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। এজন্য তিনি শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। ভবিষ্যতে শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা দেবেন তিনি।