করোনা পরিস্থিতিতে উন্নয়নে প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরই মধ্যে প্রকল্পের আওতায় নতুন গাড়ি কেনা স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় আপ্যায়ন, বিদেশ ভ্রমণ ও অন্য যেকোনো কেনাকাটায় সাশ্রয়ী হতে হবে। তবে এর মধ্যে কিছু অর্থ সাশ্রয়ও হচ্ছে। যেমন— জুমের মাধ্যমে মিটিং হওয়ায় আপ্যায়নসহ অনেক খরচ কমে গেছে।
যত্রতত্র সেতু নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়ে একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন এমন একটি পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, জনপ্রতিনিধিরা সবাই ঘরে ঘরে সেতু চান। কিন্তু এতে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুই দিক থেকেই ক্ষতি হয়। তাই এখন থেকে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠক পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জমির মালিকানা নিষ্কণ্টক হতে হবে। এ জন্য ভূমি ব্যবস্থাপনা উন্নত করা জরুরি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জমি সুরক্ষায় উদ্যোগ নিতে হবে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রাম, হাওর ও চরাঞ্চলসহ দেশের প্রত্যন্ত সব এলাকাতেও বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে হবে।
এদিন একনেকে কৃষি যান্ত্রিকীকরণসহ ৮ প্রকল্প অনুমেদন দিয়েছেন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১০ হাজার ১০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা দেবে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা।