বহুমুখী প্রতারক সাহেদকে যে স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার অদূরেই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। সেখান থেকে ভারতে প্রবেশ করতে বার বার পরিকল্পনা পরিবর্তন করছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও কিছুতেই শেষ রক্ষা হয়নি।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর সংবাদ সম্মেলনে সাহেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি তুলে ধরা হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, আজ বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ইছামতী খালের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার (১৫ জুলাই) ভোর ৫টা ১০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ইছামতি খালের পাশ থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর সকাল ৯টায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের ইছামতী খালের বিপরীত পাশেই অবস্থিত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত। ভোররাতেই ওই সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের কথা ছিল সাহেদের। কিন্তু আমাদের গোয়েন্দা দল সেখানে অবস্থান নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ্য হয়।
সীমান্ত অতিক্রমের জন্য বার বার পরিকল্পনা পরিবর্তন করছিলেন সাহেদ। সর্বশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে তিনি জেলার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে লবঙ্গবতী নামে একটি খাল আছে। তার আরো একটি খালে আছে ইছামতী। এই খালেরই বিপরীত পাশে ভারত সীমান্ত। সীমান্ত ঘেষে নদী থাকলে তার বিপরীত পাশে কাটাতারের বেড়া ও পাহারা দুর্বল থাকে। ফলে সাহেদ এই স্থানটিকে বেছে সীমান্ত পার হওয়ার জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
ঢাকায় আনার পর প্রতারক সাহেদকে নেওয়া হয়েছে র্যাব সদর দপ্তরে। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে। এ নিয়ে আজ বুধবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরবে র্যাব।