স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে সাহেদ সারাবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। সে সবসময় প্রতারণা করার ফাঁকফোকর খুঁজতো। আর প্রচারণার অংশ হিসেবেই সে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি উঠাতো। এসব দিয়েই তার প্রতারণা কাজকে আরো সহজ করত।
তবে দলে বা দলের বাইরে যে কেউ এ ধরনের প্রতারণা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রতারকরা প্রতারণা করবেই। তবে এ ব্যাপারে সজাগ আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
যখন করোনা হাসপাতাল কেউ দিতে চাচ্ছিল না, তখন সাহেদ নিজ থেকে এগিয়ে এসেছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল যে প্রতারণা সেটা তো সেই মুহূর্তে বোঝা যায়নি। আমি নিজেও ৪-৫ জন রোগীকে তার হাসপাতলে ভর্তি করিয়েছি। কিন্তু এই সবকিছুর মূলে তার উদ্দেশ্য ছিল প্রতারণা সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে।
টেলিভিশন টকশোতেও সে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিল। এটাও ছিল তার প্রতারণার অংশ। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আগের চেয়ে অনেক দক্ষ। আমরা তার কোন প্রতারণাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে দেইনি। আমরা তাকে ধরে ফেলেছি বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার ভোরে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।