রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ গ্রেপ্তার এড়াতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক দিন একেক জায়গায় অবস্থান করতেন বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
গ্রেপ্তার এড়াতে সাহেদ ঢাকা, কুমিল্লা ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় একেক দিন একেক জায়গায় অবস্থান করতেন। সর্বশেষ বুধবার ভোরে দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
বুধবার দুপুরে রাজধানীতে র্যাব সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব ডিজি।
সাহেদ পাথর ও বালু ব্যবসায়ীদের ভুয়া লাইসেন্স দিতেন। এমনকি রিকশাচালকদেরও ভুয়া লাইসেন্স দিতেন।
বুধবার সাহেদকে গ্রেপ্তারে পর তাকে নিয়ে তার উত্তরার একটি অফিসে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয় বলে জানান র্যাব ডিজি।
বুধবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তিনি জিন্সের প্যান্ট ও নীল রঙের শার্টের ওপর কালো রঙের বোরকা পরে ছিলেন। পরে সাতক্ষীরা থেকে সাহেদকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।