করোনা সময়ে যশোর-৬ এবং বগুড়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বাভাবিক সময়ের মতোই ভোট পড়েছে। আসন দুইটিতে ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়। এর মধ্যে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ভোট পড়েছে ৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি) আসনে ভোট পড়েছে ৪৬ শতাংশ। উভয় আসনের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইসমাত আরা সাদেক গত ২১ জানুয়ারি মারা যাওয়ায় যশোর-৬ আসনটি শুন্য হয়। গতকাল মঙ্গলবার আসনটিতে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ১২ ভোট। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৬৭৮ ভোট। এ আসনে মোট ভোটর ছিল ২ লাখ ৩ হাজার ১৮ জন ভোটার। এর মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৬৭টি। এর মধ্যে বৈধ ভোট ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৯৩টি এবং ১ হাজার ৩৭৪টি ভোট বাতিল হয়েছে। মোট ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে করোনার কারণ দেখিয়ে শেষ মুহূর্তে আসনটিতে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি।
বুধবার (১৫ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এসএম আসাদুজ্জামানবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য গতকাল মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) আসন দুটিতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়া-১ (সোনাতলা-সারিয়াকান্দি)
গত ১৮ জানুয়ারি আবদুল মান্নান মারা গেলে বগুড়া-১ আসনটি শূন্য হয়। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আসনটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাহাদারা মান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। সাহাদা মান্নান পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ ট্রাক প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯৯ ভোট, জাতীয় পার্টির মোকছেদুল আলম লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ২৫১ ভোট, বিএনপির একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির ধানের শীষ প্রদীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৬৪ ভোট। আসনটিতে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার ৮৯৩ জন। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮২টি। এর মধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৬৭টি এবং ১ হাজার ৩১৫টি ভোট বাতিল হযেছে। মোট ভোট পড়ার হার ৪৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।