রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মো. সাহেদ করিমের গ্রেফতারের ঘটনাকে ‘নাটক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ উপলক্ষে হোমিওপ্যাথিক ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এইচ-ড্যাব) এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
বুধবার (১৫ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজেন্টের সাহেদকে গ্রেফতারের ঘটনা একটা নাটক। সাহেদের মা আওয়ামী মহিলা লীগের নেতার। তাহলে সাহেদ হাওয়া ভবনের লোক হয় কী করে? কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার আগে সাহেদ আওয়ামী লীগের লোক। আর ফাঁস হওয়ার পর সে হাওয়া ভবনের লোক!’
সাহেদের অতীত টকশোর বক্তব্য অনুযায়ী, সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সিপাহী, আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল এবং সচিব থেকে শুরু করে চৌকিদার— সবাই এই সরকারকে চায়। আসলে যেমন সাহেদ, তেমন তার সরকার।’
সুধা ভবনের লোক দুর্নীতি করলে হাওয়া ভবনের হয়ে যায়— এটাই আওয়ামী লীগের নীতি। মৃত মানুষ ও হজ্জ পালনরত মানুষের নামে মামলা দেওয়া, নিরীহ মানুষকে কারাগারে পাঠানো তাদের অতীত রেকর্ড। সুতরাং এখন তারা যা কিছু বলবে, জনগণ তা বিশ্বাস করবে না।
জেকেজি ও রিজেন্ট মানুষকে করোনার টেস্টের নামে মৃত্যুর সনদ দিয়েছে। কিন্তু তাদেরকে ধরা হয় না। আর আমাদের মানিকগঞ্জের ছোটো মেয়ে পলি, নোয়াখালীর টিটু হায়দার ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘হঠাৎ করেই পুলিশ শরীয়তপুরের ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নূর উদ্দিন অপুকে রিমান্ড নিয়েছে। কারণ একটাই। এখন তাকে চাপ দিয়ে তথ্য বের করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হবে। এতে করে সাহেদ ও জেকেজির কেলেঙ্কারি আড়াল হয়ে যাবে। আজকে কার কী পরিণতি হবে কেউ জানি না, তারপরও সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ করে যাব।’
ডা. অহিদুল ইসলাম চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয়তাবাদী হোমিওপ্যাথিক ফোরামের সভাপতি ডা. শামসুজ্জোহা আলম, সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল আলম সেলিম, মহাসচিব ডা. শাহজালাল আহমেদ প্রমুখ।