আবদুল মতিন চৌধুরী (রিপন)
সিনিয়র রিপোর্টারঃ
সাংসদ মঈনুদ্দিন খান বাদলের বোয়ালখালী জানাজা পূর্ব শ্রদ্ধানুষ্ঠানে পুলিশের এক এডিশনাল এস পি কর্তৃক বোয়লাখালীর ইউএনও লাঞ্চিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনাটি হতবাক করেছে সমবেত সবাইকে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ মরহুমের কফিনে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তৈরিকৃত প্যান্ডেলে ব্যানার টাঙ্গানো নিয়ে ইউএনও বোয়ালখালী এবং এক এডিশনাল পুলিশ সুপারের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সমবেত মুসল্লিরা জানান, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে সাংসদ বাদলের মরদেহকে শেষ সম্মান জানানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে স্মৃতিসৌধের পাদদেশে তৈরিকৃত প্যান্ডেলে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে একটি ব্যানার লাগাচ্ছিল কিছু পুলিশ। এ সময় ইউএনও স্মৃতিসৌধকে ঢেকে না দিয়ে ব্যানারটি অন্যস্থানে লাগানোর জন্য বলেন । যা দেখে তেড়ে আসেন পুলিশের এডিশনাল এস পি আফরোজুল হক টুটুল। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চলে কিছুক্ষণ বাক-বিতন্ডা। শেষ পর্যন্ত অন্যান্য পুলিশ জোর করে ব্যানারটি না সরিয়ে সেখানেই টাঙ্গিয়ে দেন। একজন নেতার শোক অনুষ্ঠানে পুলিশ অফিসারের এমন কর্মকাণ্ড হতবাক করেছে সবাইকে। জানতে চাইলে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আছিয়া খাতুন এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অনুষ্ঠানটি ছিল উপজেলা প্রশাসনের। যেহেতু এ স্মৃতিসৌধটি নির্মাণে মরহুম সাংসদের অনেক অবদান সেহেতু আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল স্মৃতিসৌধটির সামনে তাঁর কফিনটি রেখেই শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ জন্যই স্মৃতিসৌধটি উন্মুক্ত রাখার জন্য তাদের বারণ করেছিলাম। কিন্তু উক্ত পুলিশ অফিসার আমার সাথে সবার সম্মুখে যে আচরণ করলো তাতে তো সবাই হতবাক হওয়ার কথা। এ ব্যাপারে জানার জন্য এডিশনাল এস পি দক্ষিণ আফরোজুল হক টুটুলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ থাকায় তার মতামত জানা সম্ভব হয়নি।