করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশে গত চার মাসে (মার্চ-জুন) ৭৮৮ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই তথ্য জানায়।
‘কোভিড-১৯ ক্রান্তিকালে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানান, করোনাভাইরাসের সংকটের মধ্যে মার্চ থেকে জুন মাসে মোট ৪৫৭ জন নারী ও ৩৩১ জন শিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।
এছাড়াও বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে ১৮টি। গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫১ জন ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৫ জনকে। বিভিন্ন কারণে ১৬১ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।
মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩০৭ জন।
যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ১৩ জনকে
মার্চ মাসে ২৪৩ জন, এপ্রিলে ১২২ জন, মে মাসে ১১৫ জন ও জুন মাসে ৩০৮ জন নারী ও কন্যাশিশু সহিংসতার শিকার হয়েছে।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা, বাল্যবিয়ে প্রতিরাধে প্রশাসনের ভূমিকা জোরদার করা, হটলাইনগুলোর কার্যক্রম আরও জোরদার করা, উপবৃত্তির আওতা বৃদ্ধিসহ অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম মেয়েদের নাগালে আনা, নারীর প্রজনন স্বাস্থ্য নিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মলন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে নারী ও মেয়ে শিশুর জীবন অনেক ক্ষেত্রে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বর্তমান সংকটে পারিবারিক ক্ষেত্রে নারীর কাজের সাথে সাথে অন্য কাজের বোঝাও বৃদ্ধি পেয়েছ। এ অবস্থায় নারীর প্রতি সৃষ্ট চ্যালেঞ্জসমূহ চিহ্নিত করে দূর করতে হলে আলাদাভাবে বিনিয়োগ করতে হবে।
নারী ও কন্যাশিশুর নিরাপত্তার স্বার্থে ঢাকাসহ সব বিভাগীয় ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সময় পর্যন্ত আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি।
সংবাদ সম্মলনে আরও অংশ নেন বাংলাদশ মহিলা পরিষদর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানা কবির, অর্থ সম্পাদক দিল আফরোজ বেগম।