চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে এসব হাটে কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ। হাটে যাওয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের শারীরিক দূরত্ব মেনে চলা, হাত জীবাণুমক্ত রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনে বাধ্য করা হবে।
রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে সকাল ১০টায় শুরু হয় জুন মাসের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও মামলার তদন্ত কার্যক্রম মূল্যায়নের এ সভা। দুপুর পর্যন্ত চলা সভায় ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, যেসব স্থানে পশুর হাট বসবে, সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করতে হবে। সেইসঙ্গে পুলিশ সদস্যদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
বুধবার মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এমন নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
অপরাধ সভায় জুন মাসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের মামলার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এতে দেখা যায়, বিভিন্ন থানায় মামলার সংখ্যা বেড়েছে। উপ-কমিশনার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, ঈদ সামনে রেখে একটি প্রতারক চক্র ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ওয়াকিটকি ও হাতকড়া নিয়ে ছিনতাইয়ে নেমেছে। এরইমধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা গত এক মাসে ছয়টি ছিনতাই করার কথা স্বীকার করেছেন। এ ধরনের প্রতারকদের ধরতে অভিযান চালানোর নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার।
সভায় করোনাকালে মাদক ব্যবসায়ীদের অপতৎপরতা নিয়েও আলোচনা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নানা কৌশলে মাদক বহন ও বিক্রি চলছে। এ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। কারণ সব অপরাধের মূলে রয়েছে মাদকের বিস্তার। আর মাদক ব্যবসায় কোনো পুলিশের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার চাকরি থাকবে না।
অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়।