মুজিববর্ষে সারাদেশে রোপিত এক কোটি গাছকে ‘স্মারক বৃক্ষ’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি আজ রাজধানীতে তার সরকারী বাসভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ মুজিববর্ষের আহবান, লাগাই গাছ বাড়াই বন’ প্রতিপাদ্য ধারণ করে সারাদেশে ১ কোটি বৃক্ষের চারা রোপন কর্মসূচি বিষয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
এতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর একে এম রফিক আহাম্মদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আহমেদ শামীম আল রাজী ও প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ কার্যালয় থেকে অংশ গ্রহণ করেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, মুজিববর্ষের এক কোটি গাছের চারা ছাড়াও চলতি বৃক্ষরোপন অভিযানকালে প্রতিটি সংসদীয় আসনে পাঁচ হাজার করে মোট ১৫ লক্ষ বনজ, ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, বন বিভাগের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাতেও বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় চলতি অর্থবছরে সাত কোটি বৃক্ষ রোপন করা হবে। পরবর্তীতে রোপন করা এসকল গাছের চারা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
কোন বিদেশী গাছের চারা রোপন করা হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল সকাল সাড়ে দশটায় গণভবনে তেঁতুল, ছাতিয়ান ও চালতা প্রজাতির গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন। এর পরপরই প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্ততপক্ষে একটি করে ফলজ, বনজ ও ঔষুধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে কর্মসূচী শুরু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাসস