বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, মানুষ মরে মরুক, আমি তো ঠিক আছি, জনগণ চুলায় যাক, আমি তো ঠিক আছি- এটা হচ্ছে এই সরকারের নীতি। এই নীতির কারণেই আজকে সাহেদের উত্থান হয়েছে, সাবরিনাদের উত্থান হয়েছে। একজন পাপুল ধরা পড়ল। এরকম গত ১২ বছরে কত পাপুল তৈরি হয়েছে এটা আমরা বলতে পারব না। এই দূরাচার দুর্বৃত্তমূলক শাসন ব্যবস্থায় পাপুলরাই প্রতিষ্ঠিত হবে, তারাই এমপি হবে, তাদের পক্ষেই রাষ্ট্র থাকবে।
মহামারীর মধ্যে চিকিৎসার নামে প্রতারণা আর জালিয়াতিতে জড়িতে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইনের উত্থান সরকারের নীতির কারণেই হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জাল সনদ বিক্রি, অর্থ ও মানব পাচার এবং দুর্নীতির প্রতিবাদে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
আক্রান্ত রোগী রাস্তায় মরছে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মরছে। সরকারি হাসপাতাল সেগুলো নরকে পরিণত হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালের একজন রোগী আমাকে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, ভাই আমার নয় লাখ টাকা বিল হয়েছে। আমি বাঁচার জন্য এসেছিলাম আমিসহ পরিবারের দুই-একজন, নয় লাখ টাকা বিল হয়েছে। এই হচ্ছে সরকার।
আজকে হাসপাতালে আইসিইউ নেই, বেড নেই, ভেন্টিলেটর নেই, হাসপাতালে মাস্ক নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর নকল মাস্ক নিয়ে এসেছে তার সাথে কে জড়িত? মন্ত্রীর ছেলে। ভেন্টিলেটর এখন এই মুহূর্তে জীবন বাঁচানোর একটি অন্যতম সরঞ্জাম। সেটি আমদানি করতে একে তো আওয়ামী সিন্ডিকেট তার উপরে মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনেরা। তাহলে কি করে মানুষ বাঁচবে? মানুষ বাঁচানোর কোনো জায়গা তারা রাখবে না।
প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য বিএনপির তরুণদেরকে রাতের অন্ধকারে তুলে নিয়ে গুম করা হয়, স্বীকার করা হয় না। সবাই দেখেছে যে, টিটো হায়দারকে তুলে নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে লোকজন। পলিরা আজকে রাতের অন্ধকারে গ্রেপ্তার হয়ে যায়। এরকম অসংখ্য ঘটনা।
মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন দক্ষিণের সভাপতি ও দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং যুবদল, শ্রমিক দল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, মহিলা দলের নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।