বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় ময়ূর-২ লঞ্চের সুকানি (চালকের সহযোগী) নাসির মৃধাকে তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিশকাত শুকরানার আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন। এছাড়া রিমান্ডে থাকা আসামি লঞ্চের মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে গত বুধবার ভোরে নাসিরকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাগেরহাটের বন্দর এলাকায় অবস্থানরত এমভি রাজিব-২ কার্গো জাহাজ থেকে র্যাব সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।
এর আগে তাদেরকে আদালতে হাজির করে নৌ পুলিশ। মামলার তদন্তের জন্য নাসিরের সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরঘাট নৌ থানার উপপরিদর্শক শহিদুল আলম। শুনানি শেষে আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া মাস্টার আবুল বাশার মোল্লা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এদিকে একই মামলায় ময়ুর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, সুপারভাইজার আব্দুস সালামকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া এই মামলায় গত ১৫ জুলাই ময়ূর-২ লঞ্চের সারেং (চালক) শিপন হাওলাদার ও শাকিলকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
লঞ্চডুবির ঘটনায় গত ৩০ জুন সদরঘাট নৌপুলিশের এসআই শামসুল আলম বাদী হয়ে ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা। এছাড়াও আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মামলায় বেপরোয়া লঞ্চ চালিয়ে মানুষ হত্যা ও ধাক্কা দিয়ে লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য দণ্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৪৩৭ ও ৩৪ ধারার অভিযোগ আনা হয়।