বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে মিল এমাই-১৭/১৭১ সিরিজের কয়েকটি ভার্ষনের হেলিকপ্টার রয়েছে যার মধ্যে বিমানবাহিনীর সর্বশেষ সংযোজিত এই ভার্ষন টি সবচেয়ে আধুনিক। এই ভার্ষন টি মিল এমাই-১৭ ভি-৫ হেলিকপ্টার এর উপর ভিত্তি করে বানানো একটি লাইট আপগ্রেড ভার্ষন, যেখানে এতে এমাই-১৭ভি৫ এর কিছু টেকনোলজির সাথে রাশিয়ার নতুন উন্মোচন করা এময়াই-১৭১এসএইচ-ভিএন আর্মড মাল্টিমিশন হেলিকপ্টার এর কিছু টেকনোলজি র ব্যবহার করা হয়েছে। তাই এর ভিএন ভার্ষন এর সাথে এর বেশ কিছু সাদৃশ্য রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর নতুন সংযোজিত এই হেলিকপ্টার গুলোতে এমাই-১৭ভি-৫ মত সেমি গ্লাস ককপিট ব্যবহার করা হয়েছে যা অত্যন্ত আধুনিক। ফলে হেলিকপ্টার পরিচালনার জন্য ২ জন পাইলটই যথেষ্ট, আলাদা নেভিগেটর এর প্রয়োজন নেই। হেলিকপ্টার গুলো তে রয়েছে আধুনিক নাইট মিশন অপারেশন ক্যাপাসিটি যার ফলে এতই হেলিকপ্টার গুলো দিনের পাশাপাশি রাতেও সমান ভাবে মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম। পাইলট দের জন্য রয়েছে নাইট ভিশন যুক্ত বিশেষ হেলমেট সিস্টেম যা পাইলট কে রাতে অপারেশন পরিচালনা করতে বা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে বিশেষ সুবিধা দেয়।
আধুনিক এই হেলিকপ্টার গুলোতে নোজ মাউন্টেন রাডার রয়েছে যা ৫৬ কিমি দূর পর্যন্ত ভুমিতে থাকা টার্গেট খুজে বের করতে সক্ষম। আধুনিক গ্লোবাল পজিশনিং সুবিধা, মিশন ম্যাপ আপডেট সহ এই হেলিকপ্টার গুলো তে বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
গ্রাউন্ড অপারেশন এর জন্য হেলিকপ্টার গুলো রকেট এর পাশাপাশি গান পড এবং এন্টি ট্যাংক মিসাইলও বহন করতে সক্ষম যদিও এতে এখনো এন্টি ট্যাংক/ এন্টি সার্ফেস মিসাইল অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
বর্তমানে জাতিসংঘ মিশনে এরকম ৩ টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোন আর্মড হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে।