কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পর্যটন বিরাট ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, জনগণকে পর্যটনে সস্পৃক্ত করলে তা পর্যটনের উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের জীবন-জীবিকার অন্যতম উপায় হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পর্যটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
একটি দেশ পর্যটনে উন্নত হওয়ার জন্য যা যা পূর্বশর্ত প্রয়োজন, বর্তমানে বাংলাদেশে তার সব উপাদান আছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে পদ্মা সেতু, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, মেট্রো রেল, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, আঞ্চলিক এভিয়েশন হাভে রূপান্তরের লক্ষ্যে কক্সবাজার ও সৈয়দপুরে বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বগুড়া জেলার সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের এক অনলাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন তিনি।
ছাড়া সিলেট ও চট্টগ্রামে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দুটির ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সাধন এবং ঢাকা শহরে পাতাল রেল তৈরি করাসহ নানা মেগাপ্রকল্প বর্তমানে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
কভিড-১৯-এর কারণে সারা পৃথিবীর সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটনেও বর্তমানে একটি অচলাবস্থা বিরাজ করছে। তবে কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে সারা দেশের মানুষ আকর্ষণীয় বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাবে। পর্যটকদের সেই চাহিদা পূরণ করার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ওই সময়ে আমাদের পর্যটনের অন্যতম প্রধান শক্তি হবে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকেরা।
দেশের ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে দেশকে এবং দেশের পর্যটন পণ্যসম্ভার সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মচারী, সাংবাদিক ও সকল পর্যটন অংশীদারকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমরা যদি পর্যটকদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে পারি তবে পর্যটন খাতে আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
তিনি বলেন, পর্যটন শিল্পে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের অন্তর্নিহিত গুরুত্ব অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা, ঐতিহ্যগত জীবনাচরণ এবং লোক সংস্কৃতিকে ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে যথাযথভাবে তুলে ধরতে হবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের পরিচালক আবু তাহের মোহাম্মদ জাবেরের সঞ্চালনায় ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও পর্যটন খাতের অংশীজন।