বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ড. এমাজউদ্দিন আহমদ কীর্তিমান ও পণ্ডিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে দেশে-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছিলেন। গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে তাঁর সুচিন্তিত ও বিশ্লেষণধর্মী লেখা মানুষকে চিরদিন অনুপ্রাণিত করবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য তাঁকে রাষ্ট্রশক্তির জুলুমও সইতে হয়েছে।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের দাবির পক্ষে তিনি জাতীয় অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। দেশের এই ক্রান্তিকালে তাঁর মতো একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদের বেঁচে থাকা ছিল অতীব জরুরি। রাষ্ট্র-সমাজে গণতন্ত্রের বিকাশের অপরিহার্যতা ছিল ড. এমাজউদ্দিন আহমদের চিন্তা, গবেষণা ও মননের অনুষঙ্গ।
আজ শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় তাঁর মরদেহে দলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এমাজউদ্দিনের মৃত্যুতে শোকাহত পরিবারবর্গ ও অসংখ্য গুণগ্রাহীর প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে ফখরুল বলেন, আমি মরহুম ড. এমাজউদ্দিন আহমদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকে ম্রিয়মাণ পরিবারের সদস্যবর্গ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁকে জান্নাত নসিব করুন-এই দোয়া করি।
সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রনেতা সুরঞ্জন ঘোষসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।