স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নাজেহাল করার প্রতিবাদে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদের প্রত্যাহারের দাবিতে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় তিনি যোগদানের পর থেকে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য ও অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। তিনি একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। বিভিন্ন সময়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার নিমিত্তে লকডাউন চলাকালে তাঁর উপজেলা মসজিদে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দিয়ে জরিমানা করেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বসুরহাট রুপালী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এ আলটিমেটাম দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ।
তিনি ইচ্ছা করেই ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন অজুহাতে নাজেহাল করেন। অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সখ্য করে তাদের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করে আসছেন। বিষয়টি তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অবহিত করলেও তার অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
নবাগত জেলা জেলা প্রশাসকের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এ মানববন্ধন স্থগিত করা হয়। কিন্তু এর পরও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিতর্কিত (ইউএনও)’র বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় উপজেলা ছাত্রলীগ ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে (ইউএনও)কে প্রত্যাহার করা না হলে আমরা পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টায় উপজেলা ছাত্রলীগ (ইউএনও)’র স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি, দায়িত্বে অবহেলা ও ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নাজেহাল করার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনের ডাক দেয়।
ইউএনও ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের আনীত অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা আমার নিকট বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সুবিধা ও তাদের কথা রাখার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু বিধি বহির্ভূত কোনো কাজ আমার পক্ষে করা সম্ভব নয় বলায় তারা এ ধরনের অপপ্রচার করছে।