ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের সভায় এ বছরের উচ্চ পর্যায়ের অধিবেশনে মূল ভাষণ প্রদান করেন। ১৭ জুন নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য (২০২১-২২ পর্যন্ত) নির্বাচিত হওয়ার পর জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর উদ্দেশে এই প্রথমবার ভাষণ দিলেন মোদি।
জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীতে উচ্চস্তরীয় ইকোসক অধিবেশনের মূল প্রতপাদ্যের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো প্রতিফলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী কভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বে ‘বহুপাক্ষিক সংস্কারের’ পক্ষে পুনরায় ভারতের আহ্বানের কথা তুলে ধরেন যা সমসাময়িক বিশ্বের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।
বছর ইকোসকের সভার মূল প্রতিপাদ্য ‘কভিড-১৯ পরবর্তী বহুপাক্ষিকতা: ৭৫তম বার্ষিকীতে আমাদের কেমন জাতিসংঘ প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসহ ইকোসক এবং জাতিসংঘের উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’। ভারতের এই উন্নয়নমূলক নীতিটি কাউকে পিছনে না রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রারই প্রতিফলন।
ভারতের এই বিশাল জনসংখ্যার আর্থ-সামাজিক সূচক উন্নয়নে সাফল্য বিশ্বে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ভারতের প্রতিশ্রুতির কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি পরিবেশগত স্থায়ীত্ব এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং আন্তর্জাতিক সৌর জোট ও দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামো প্রতিষ্ঠায় ভারতের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
নিজের পাশ্ববর্তী অঞ্চলকেই অগ্রাধিকার দান প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশকে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত সরকার এবং ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোর সহায়তা প্রদান ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি যৌথ কৌশলগত প্রতিক্রিয়া সমন্বিত করার কথাও স্মরণ করেন।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী ইকোসকে ভাষণ দিলেন। এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইকোসকের ৭০তম বার্ষিকীতে তিনি মূল ভাষণ দিয়েছিলেন।
নিজের পাশ্ববর্তী অঞ্চলকেই অগ্রাধিকার দান প্রসঙ্গে ভারতের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশকে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ভারত সরকার এবং ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির সহায়তা প্রদান ও সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি যৌথ কৌশলগত প্রতিক্রিয়া সমন্বিত করার কথাও বলেন।