দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ার কারণে রোগী শনাক্তের সংখ্যাও কমেছে। যদিও এখনো পরীক্ষার বিবেচনায় প্রতি চারজনে একজন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। আগে এই হার ছিল ২১ শতাংশের কাছাকাছি। কারন হিসেবে ব্যাখ্যা এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, যারা সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের দ্বিতীয়বার আর পরীক্ষা করানোর দরকার হচ্ছে না। এজন্য পরীক্ষার সংখ্যা কিছুটা কমেছে।তাছাড়া পরীক্ষা করানোর জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি ফি ধার্য করা হয়েছে। সেই কারণে কিছুটা কমতে পারে। এবং
এখন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক অনেকটাই কমে গেছে। মানুষ পরীক্ষা করানোর ব্যাপারে আগ্রহ কম দেখাচ্ছে।
আজ ১৯ জুলাই রবিবার দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর মহাখালিস্থ স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিনের মতো অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে দেশের সর্বশেষ তথ্য জানান অধিদপ্তরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা।
ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে ৮০ টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০ হাজার ৯৩৫ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১০ হাজার ৬২৫ টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯ টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে। ফলে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৪ হাজার ৫২৫ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো দুই হাজার ২ হাজার ৬১৮ জনের পাশাপাশি গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও ১৫৪৬ জন মোট ১ লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন।
বুলেটিনে ডা. নাসিমা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩.১৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৪.৫৯ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। আজ মৃতদের লিঙ্গ বিভাজনে পুরুষ ২৯ নারী ৮ জন।
এদিকে বিশ্বজুড়ে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড গড়েছে। গতকাল একদিনে ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ২ লাখ ৬০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছেন, বৈশ্বিক মহামারি শুরু হওয়ার পর এটি একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এ খবর জানিয়েছেন সিএনএন ও বিবিসি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১ কোটি ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ৩৮২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৪ হাজার ৯৬৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫২ লাখ ৩ হাজার ৪৬৫ জন এরমধ্যে আংশকাজনক অবস্থায় রয়েছেন ৬০ হাজার ৭৩ জন।
প্রসঙ্গত,গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।