স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই কভিড-১৯ পরীক্ষা করা ও র্যাপিড কিট দিয়ে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করে আসছিল রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত সাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। অথচ তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করা হয়েছিল।
হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় এই অনুমোদন বাতিল করা হয়। এরপরও তারা গোপনে কভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এই টেস্টগুলো তারা ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। কিন্তু বাংলাদেশে সেই ডিভাইস ব্যবহারের অনুমোদন নাই। আর যেসব রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।
আজ রবিবার বিকেলে হাসপাতালটিতে অভিযান শুরু করে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলাকালে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি টেস্টের কাজ করছিল। এছাড়াও তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নেয় বলে অভিযোগ পেয়েছি।
দ্বিতীয় অভিযোগ হলো- হাসপাতল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের অন্যান্য হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে।
তৃতীয় অভিযোগ হলো- তারা কিছু প্রোডাক্ট যেমন মাস্ক, গ্লোভস, এগুলো তারা একের অধিক বার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত ওয়ানটাইম ইউজেবল। কিন্তু তারা এগুলো বার বার ব্যবহার করছে।
তিনি বলেন, আমরা পুরো হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করছি। হাসপাতালের ওষুধাগারেও অভিযান চলছে।