ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই বিএসএফের এ ধরণের বক্তব্য ।’–বিজিবি। গত ১৩ই জুলাই বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এসএস গুলেরিয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সীমান্তে গরু চোরাচালানের সাথে বিজিবির সম্পৃক্তা রয়েছে বলে উল্লেখ করে, তিনি বিজ্ঞপ্তিতে জানান গরু চোরাচালানে বিজিবির প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। একই বিবৃতিতে বিএসএফ ডিআইজি এও বলেন যে, ‘ প্রাণীগুলোকে পরম যত্নের সঙ্গে লালন-পালন করা হয়, কিন্তু কোরবানি ঈদের নামে উৎসর্গ করে জবাই করার অর্থ হলো নির্যাতন করা।’
বিএসএফের এমন মিথ্যা ও অবমাননাকর বিজ্ঞপ্তির পর বিজিবি সদরদপ্তর থেকে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে, “প্রকাশিত সংবাদ ও বিবৃতিটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চোরাকারবারিদের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় ভারতের মাটিতে গরু সমাগম ও নদীপথে গরু পাচারে বিএসএফ-এর নিষ্ক্রিয়তা ও তৎপরতার অভাব নিঃসন্দেহে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দেয়। বিএসএফ নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছে। ভারতীয় গরু পাচারকারীরা অধিক মুনাফা লাভের আশায় বাংলাদেশে গরু পাচারে অতি উৎসাহী হয়। এতে করে আমাদের দেশীয় খামারগুলো প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
এছাড়া বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব “কুরবানী ” নিয়ে বিএসএফ যে বক্তব্য দিয়েছে তারও প্রতিবাদ করে বলা হয়েছে, “এটি ইসলাম ধর্মের বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার জন্য অবমাননাকর। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার শামিল।”