অনুমিতভাবেই পিছিয়ে গেল এবছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই আসর এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণায় বড় লাভ হলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। কারণ করোনার কারণে এবছরের আইপিএল এখনো তারা আয়োজন করতে পারেনি। বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় আইপিএলের জন্য দরজা খুলে গেল। ওই ফাঁকা সময়টিতে তারা এখন হাজার কোটি টাকার এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের আয়োজক অস্ট্রেলিয়া চাইছিল চলতি বছরের শেষে ভারত যেন তাদের দেশে সফরে যায়। ভারতের মতো দল গেলে তাদের বিপুল পরিমাণ আয় হবে, যা দিয়ে করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। ভারত শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া সফর নিশ্চিত করেছে। তবে তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছিল যে, তাদের পক্ষে এবছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব নয়। এসব বিষয় মিলিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই দাবি করেছেন, বিশ্বকাপ পেছানোর পেছনে কলকাঠি নেড়েছে ভারত।
রেভিনিউ নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে আইসিসির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। আইসিসির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শশাঙ্ক মনোহর শক্ত হাতে ভারতের দাদাগিরি প্রতিহত করতেন। এর মাঝে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও আইসিসির সঙ্গে বিসিসিআইয়ের দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। বিসিসিআই চাইছিল, এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আইসিসি যেন পিছিয়ে দেয়। কারণ আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিসিসিআইয়ের হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে। আইসিসি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় বিসিসিআইয়ের কর্মকর্তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন।
দিন দুয়েক আগেই খবর বেরিয়েছিল যে, এবারর আইপিএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়েজনে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারত। কারণ ভারতে এখন করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ আইপিএলের প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। ভারত এখন বিশ্বকাপের ফাঁকা উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজন করতে পারে। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড আর্থিক ধাক্কা থেকে রেহাই পাবে। আর ভারতকে আতিথ্য দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।