করোনা ভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির দুই ঘটনায় গ্রেফতার প্রতারক মোহাম্মদ সাহেদ ও ডা. সাবরিনা আরিফের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সাহেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখন ডিবির হেফাজতে রয়েছেন। এতদিন ডা. সাবরিনাও ডিবির হেফাজতে ছিলেন। সাবরিনা ও সাহেদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল বলে খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবির দায়িত্বে) আব্দুল বাতেন বলেন, তাদের সখ্যতার তথ্য মিলেছে।
গত শনিবার সাবরিনা ও সাহেদকে কিছুক্ষণের জন্য মুখোমুখি করা হয়েছিল দুই জন দুই জনকে চেনেন কি না, তা বোঝার জন্য। তারা চেনেন না বলে দাবি করলেও ডিবি জানতে পেরেছে তারা পরস্পরকে আগে থেকেই চিনতেন।
করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা না করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া, সরকারের কাছে বিল দেওয়ার পর আবার রোগীর কাছ থেকেও অর্থ নেওয়াসহ রিজেন্ট হাসপাতালে নানা অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ হয় র্যাবের অভিযানের মধ্য দিয়ে। ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে আসা এবং টেলিভিশনে টকশোতে নিয়মিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকা রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদকে গত ১৫ জুলাই র্যাব গ্রেফতার করে। ডা. সাবরিনাকেও গত ১২ জুলাই গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিও টেলিভিশনে স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান করতেন।
উত্তরায় সাহেদের দখল করা যে হোটেল ছিল সেটির নিচতলায় ছিল জাপানিজ রেস্টুরেন্ট। আর সাবরিনা জাপানি খাবার পছন্দ করতেন। ঐ রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সুবাদে প্রথমে তাদের পরিচয়। পরে তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠে। অনেকদিন তারা দেখা-সাক্ষাৎ ও আড্ডাও দিয়েছেন, এমন তথ্য ডিবির হাতে এসেছে।