ঘষামাজা করা গাড়িতেই ঈদে দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাস মালিকরা। করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মাঝখানে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচলের কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে তা উপেক্ষিত হয়েছে। মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি। বর্তমানে রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুট ও দূরপাল্লায় যেসব বাস চলাচল করছে সেসব বাসের হেলপার, কন্ডাক্টরদের কারো কারো মুখে মাস্ক দেখা গেলেও হাতে গ্লাভস, গায়ে পিপিই নেই। ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী ছাড়াই বাসের কন্ডাক্টর যাত্রীদের কাছে গিয়ে ভাড়া আদায় করেন। হেলপার দাঁড়িয়ে থাকেন বাসের দরজায়। তাঁদেরও নেই ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী। অথচ হেলপারের গা ঘেঁষেই যাত্রীদের বাসে উঠতে হয়। আবার একই সময়ে একাধিক যাত্রী প্রতিযোগিতা করে বাসে উঠতে গিয়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে। আর যাত্রীরা বাসে ওঠার সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের পরিবর্তে দেওয়া হয় ব্লিচিং পাউডার মেশানো পানি, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ অবস্থায় ঈদের সময় যাত্রীর চাপ বাড়লে আদৌ স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে বাস মালিকরাও সংশয়ে আছেন।
করোনার আগে স্বাভাবিকভাবে প্রতিদিন ঢাকার সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী থেকে বিভিন্ন জেলায় প্রায় ছয় হাজার বাস যাতায়াত করত। ঈদের সময় তা বেড়ে দাঁড়াত ১০ হাজারে। এবার এখনো যাত্রী নেই। ঈদে তেমন যাত্রী হবে বলেও মনে হয় না। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চালানোর চেষ্টা করব। আর হঠাৎ যাত্রীর চাপ বাড়লে কী হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।’
অন্যদিকে এবার এখন পর্যন্ত দূরপাল্লার যাত্রীদের আগাম তৎপরতা দেখা যায়নি। ঈদে বাড়ি যেতে কোনো যাত্রী অগ্রিম টিকিট কিনেছে বলেও জানা যায়নি। ফলে ঈদে আদৌ যাত্রীর চাপ বাড়বে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে আছেন বাস মালিকরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক মালিক ঐক্য লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদে যাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে শ্রমিক-মালিকদের সমন্বয় ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালানো দুরূহ ব্যাপার। শ্রমিক-মালিক উভয়কেই স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি মেনে চলতে হবে।