পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াতের লক্ষ্যে সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম শুরুসহ ১০ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বৃদ্ধি, পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল সুশৃঙ্খল রাখতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, উপকূল, হাওর ও পাহাড়ি জনপদে অবৈধ ও ত্রুটিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধ, গুরুত্বপূর্ণ নৌপথসমূহে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের তৎপরতা জোরদার, টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোতে বড় পর্দায়, লাউড স্পিকারে ও বেতার-টেলিভিশনে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার, লঞ্চ ও স্টিমারসহ সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, সকল টার্মিনালে শৌচাগার ও ওজুখানায় পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত এবং যাত্রীবোঝাই লঞ্চ ছাড়ার আগমুহূর্তে ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
এবার ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে ভরা দুর্যোগ মৌসুমে। এ ছাড়া দেশের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা বন্যার কবলিত। এ দুটি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা সুপারিশগুলো তৈরি করেছি।
জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, দূরপাল্লার সড়কে তীব্র যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটার কারণে উপকূলীয় জনপদের মানুষ যাতায়াতের ক্ষেত্রে নৌপথকে প্রাধান্য দেয়। ফলে লঞ্চ-স্টিমারসহ সকল নৌযানে যাত্রীর চাপ অনেক বেড়ে যায়। তিনি বলেন, অন্যদিকে চলছে ভরা দুর্যোগ মৌসুম। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে জনস্বার্থে আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।