ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তাঁদের জামিনের আবেদন নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত মুলতবি রাখার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ জুন এই একই আদালত রফিকুল আমীনের জামিনের আবেদন নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত মুলতবি রাখার আদেশ দেন। এরপর ওই আদেশ প্রত্যাহার ও জামিন চেয়ে নতুন করে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জুলাই) আবেদন করেন রফিকুল আমীন। আর মোহাম্মদ হোসেন এই আবেদন করেন আগের দিন ২০ জুলাই। এই দুইজনের আবেদনের ওপর আজ বুধবার শুনানি হয়।
বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ আদেশ দেন। তাঁদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এমপি ও মো. মাইনুল হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।
মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ ও ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এক হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২০৪ টাকা আত্মসাত করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দুটি করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির একপর্যায়ে তাঁদের লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেবেন- এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাঁকে জামিন দেন আপিল বিভাগ। গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। ওই শর্ত সংশোধন চেয়ে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রফিকুল আমীন।
ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘গাছ ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।’ এরপর ওই জামিন আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়।গতবছর আবারো জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। গতবছর ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তাঁদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তাঁরা।