ঈদে গ্রামমুখী মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হবে।
সংসদ ভবনের তার সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ভবনে ঈদকে সামনে রেখে দেশের সড়ক-মহাসড়কের পরিস্থিতি নিয়ে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
সরকার ইতিমধ্যে ঈদে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। তাই সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন।
প্রত্যেক জোন, সার্কেল ও বিভাগকে সক্রিয় থাকতে হবে যাতে সড়ক-মহাসড়কের ওপর বা পাশে পশুরহাট না বসে। এ বিষয়ে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আগেই সমন্বয় করতে হবে।
টঙ্গী-গাজীপুর মহাসড়কের কাজ চলমান থাকায় প্রয়োজনে গাজীপুরের মেয়র, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে সড়ক-মহাসড়ক এখন ভালো পর্যায়ে আছে। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি বাড়িয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অতীতের মতো এবারও সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
ঈদের আগে ও পরের সাত দিন দেশের সকল ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের চলমান নির্মাণ কাজ জনস্বার্থে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, নবীনগর, বাইপাইল, ইপিজেড, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, ভুলতা, কাঁচপুর এলাকায় অসংখ্য গার্মেন্টস থাকায় ঘরমুখো মানুষের চাপ তৈরি হবে। তাই এই চাপ সঠিকভাবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিজিএমইএ’র সঙ্গে সমন্বয় করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।