হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তাঁর চিকিৎসায় ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বসে। আগের দিন করানো বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল দেখে মেডিক্যাল বোর্ড সদস্যারা। এসব রিপোর্ট ভালো আছে বলে চিকিৎসকরা জানান।
বৃহস্পতিবার তাঁর করোনার পরীক্ষা করা হতে পারে। তবে তাঁর করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার কারণে এ পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে। এর আগে হঠাৎ অসুস্থ অনুভব করলে গত ৭ জুন একই আইসিইউতে ভর্তির পর তখন এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকাকালীন সময়েও আল্লামা শফীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। তবে ফল নেগেটিভ আসে।
গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে আবার চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যর্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগ থাকায় নিয়মিত চেকআপের জন্য আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়।
সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের মেডিসিনসহ ৮টি বিভাগের ১০ জন বিশেযজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ড বসে। এক ঘণ্টা ধরে চলে এ মেডিক্যাল বোর্ড।
তাঁর ছোট ছেলে ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রচার সম্পাদক আনাস মাদানীর সঙ্গে বিকেলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। ভর্তির সময় শারীরিক যে অস্থিরতা ছিল তা এখন নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। রিপোর্টগুলো ভালো আছে। উনি স্বাভাবিক কথা-বার্তা বলছেন। ভালো লাগায় উনি হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যেতে চাচ্ছেন।
শাহ আহমদ শফী চট্টগ্রামে হাটহাজারীর আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম’র (হাটহাজারী বড় মাদরাসা) মহাপরিচালক। তিনি কওমি মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।