ওয়েরলিকন এর কাছ থেকে এই ধরণের ২ ইউনিট এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ক্রয় করেছে।
প্রতি ইউনিটের মুল্য আনুমানিক ৫৫ মিলিয়ন ইউরো। প্রতি ইউনিটে ২টি করে মোট ৪টি ৩৫ মিঃমি এর কামান রয়েছে।এই সিস্টেমটির একটিভ প্রটেকশন রেঞ্জ ধরা হয় ৪ কি:মি। স্কাইগার্ড ৩ টার্গেট লোকেটিং রাডার এর সাহায্যে ৩৬০° রাডার ভিউর মাধ্যমে ৫০ কিমি রেঞ্জ এর মধ্যে টার্গেটকে ডিটেক্ট করতে সক্ষম। এবং অপ্টিকাল ইমেজ ট্রাকিং সিস্টেমের সাহায্যে ১০ কিঃমি দুর থেকে টার্গেট আইডেন্টিফিকেশন করা সম্ভব।এই ধরণের এক ইইনিট গান সিস্টেমের সাহায্যে প্রতি মিনিটে ১১০০+ রাউন্ড ফায়ার করতে সক্ষম। যেখানে এম্যুনিশেন হিসেবে ব্যবহার হয় বিখ্যাত AHEAD মিউনিশন।
মেকানিজম:প্রতিটি GDF 009 টুইন ব্যারেল গানে আলাদা রাডার সিস্টেম বিদ্যমান।টার্গেট আইডেন্টিফিকেশন এর পর প্রতিটি অটোমেটেড গান মিনিটে ১১০০ টির মত রাউন্ড ফায়ার করতে সক্ষম।উল্লেখ্য প্রত্যেকটি রাউন্ড ফায়ারকালে গানের নজলে থাকা “ম্যাগনেটিক কয়েলের” মাধ্যমে প্রতিটি রাউন্ডকেই তার গতি এবং টার্গেটের কাছে যাওয়ার সময়কে হিসেব করে প্রোগামিং করা হয়।ধরুন ৪ কিমি দূরে অবস্থিত একটি টার্গেট আইডেন্টিফিকেশন এর পর জিডিএফ ০০৯ টুইন ব্যারেল গান ১ম সেকেন্ডে ফায়ার করছে,যেখানে প্রথম রাউন্ডের বেগ ঘন্টায় ১.৩২ কিমি যা টার্গেটের কাছে যেতে ৪ সেকেন্ড সময় নিবে।যেহেতু টার্গেট সামনে আসছে এবং একই সাথে এর দুরত্ব কমছে,পরের রাউন্ডের বেগ এবং সময় টার্গেটের দুরত্বের সাথেই মাপজোখ হবে।
যেমন :১.২৮ কিমি,,যা পৌছাতে ৩.৯৬ সেকেন্ড সময় নেবে।নির্দিষ্ট বেগ অর্জনের নির্দিষ্ট সময় পর প্রতিটা রাউন্ড (AHEAD সিস্টেম)ভেংগে গিয়ে ট্যাংস্টেন এর অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরো তৈরী করবে,যা আকাশে ট্যাংস্টেন এর বৃষ্টির মত অবস্থা তৈরী করবে।উল্লেখ্য ট্যাংস্টেন বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ধাতু।আগেরকার দিনের “ফিলিপস” বাতিতে যে ছোট তার থেকে আলো আসত আর বাতি ফিউজ হলে যে রূপালী তার কেটে যেত সেটিই “ট্যাংস্টেন”।ড্রোন বা বিমান সেই হাই ভেলোসিটি+মিলিটারি গ্রেড ট্যাংস্টেন এর আঘাতেই ঝাঁজরা হয়ে যাবে।