করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে প্রথম থেকেই কঠোর নিয়মকানুনের ফলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কাতার। ফলে দীর্ঘ চার মাসের অধিক সময় স্থবির জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। তাছাড়া শিথিল করা হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি।
১ আগষ্ট কাতার প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনায় কম ঝুঁকিপূর্ণ ৪০ দেশের নাম উল্লেখ করেছে দেশটি।
কাতার বিমানবন্দরে আসার পর করোনা টেস্ট করা হবে এবং ১০টি শর্ত মেনে চলার স্বাক্ষর প্রদান করে এক সপ্তাহের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এই ক্ষেত্রে হোটেল কোয়ারেন্টিনের কোনো প্রয়োজন নেই। তবে এ তালিকায় বাংলাদেশের নাম উল্লেখ না থাকলেও দেশে অবস্থানরত কাতার প্রবাসীদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
২১ জুলাই রাতে কাতার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকার ঘোষিত বাংলাদেশে ১১ টি মেডিকেল সেন্টার থেকে ভ্রমনকারিদের ৪৮ ঘণ্টার আগে করোনা ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে কাতারে আসতে হবে।
বিদেশি কর্মীদের ফেরার অনুমতি দেওয়ার বেলায় সরকারি ও আধা সরকারি খাতে কর্মরত কর্মীদের চাহিদা ও কাতারের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।
কাতারে আসার পর ওই কর্মীকে নির্ধারিত হোটেলে এক সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই কোয়ারেন্টিনের খরচ কোম্পানিকেই বহন করতে হবে।
পারিবারিক ভিসায় যারা কাতারে থাকেন, তারা বাংলাদেশ থেকে কাতারে ফেরার পর নিজ খরচে এক সপ্তাহের জন্য হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এক সপ্তাহ পার হওয়ার পর তাদের করোনার পরীক্ষা করা হবে। করোনার ফল নেগেটিভ হলে বাসায় আরও এক সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। আর পজিটিভ হলে কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে যেতে হবে।
কোন কোন হোটেলে প্রথম সপ্তাহের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে, ইতিমধ্যে সেগুলোর তালিকা ডিসকোভার কাতার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।