চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করতে শিশুদের নিয়োগ দিলে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্যে মনিটরিং করবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রথমবারের মতো।
কুরবানি ঈদের পর কাঁচা চামড়া বহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ কাজে শিশুদের যুক্ত করতে দেখা যায়। চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করার কারণে এবং চামড়া শিল্পের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
সরকার ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকাতেও চামড়া শিল্পের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্যানারি শিল্পসহ অন্য কোথাও চামড়া পরিবহন ও প্রক্রিয়াকরণের কাজে যেন শিশুদের নিযুক্ত করা না হয়-সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করা হলো।
ট্যানারি এবং চামড়াজাত শিল্পকে শতভাগ শিশুশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। এটি অব্যাহত রাখার জন্য চামড়াজাত শিল্পে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিজাতকরণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা জানানো হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার ২০১৩ সালে ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ৩৮টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোনও শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।