আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন না করে বিএনপি নেতারা দেশবিরোধী মিথ্যাচার অপপ্রচারে লিপ্ত। ঢোল বাজিয়ে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করাই কি তাদের রাজনীতি? বিএনপি সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশের বিরোধিতায় নেমেছে। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এসব করতে গিয়ে দিনে দিনে দলটি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এবং রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে।
আজ রবিবার (১৯ জুলাই) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের একটি প্রতিবেদনে দেখলাম, ইতালি বিএনপির সাবেক সভাপতি, ইতালির গণমাধ্যমে দেয়া দেশবিরোধী অসত্য বক্তব্যে প্রবাসীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী এই বিএনপির নেতা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি ১০ লাখ লোক আক্রান্ত। কোনও চিকিৎসা নেই দেশে। ১০ হাজার মানুষ ইতালির পথে রয়েছে। যারা ইতালির যাচ্ছে তাদের সবার কাছে না-কি ভুয়া রিপোর্ট। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে ছোট করা, লাখ লাখ প্রবাসীদের অস্থিরতায় ফেলে দেয়ার এমন অসত্য তথ্য দিয়ে ইতালির গণমাধ্যমে বক্তব্য দেয়ায় ইতালি প্রবাসীরা ক্ষুব্ধ। বিএনপি যে দেশ ও বিদেশি ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাসী তা আবারও প্রমাণ হলো।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিক যেতে চাইলে, সরকার নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, বিদেশে ভ্রমণের পূর্বে সরকার নির্ধারিত ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে করোনার সনদ গ্রহণ করতে হবে। আমি নির্ধারিত প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা করার জন্য বিদেশগামী ভাই-বোনদের অনুরোধ করছি। আমাদের কিছুসংখ্যক জনশক্তির অবহেলা এবং তথ্য গোপনের ফলে ২-৩ টি দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। এমন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি আমরা অবশ্যই চাইনি।
সড়কমন্ত্রী বলেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, করোনা সংক্রমণ বিষয়ে জনমানুষের মাঝে ভয়-ভীতি কমে গেছে। নমুনা পরীক্ষা সংখ্যাগত বিচারে কমছে, কিন্তু জনস্বার্থ বিশেষজ্ঞদের ধারণা লক্ষণ ও সংক্রমণ লুকিয়ে অনেকে চলাফেরা করছেন, কিন্তু পরীক্ষা করাচ্ছেন না। অপরদিকে নমুনার সংখ্যা কমলেও আক্রান্তের হার শতকরা হিসেবে বাড়ছে।
তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষায় মানুষের আগ্রহ কমার পেছনে দুটি প্রতিষ্ঠানের (জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতাল) প্রতারণার প্রভাব আছে। কারও কারও পরীক্ষায় আস্থাও কমতে পারে। এছাড়া কোথাও কোথাও নমুনা সংগ্রহের রেজাল্ট জানাতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হতে পারে। যা শুভ লক্ষণ নয়। একদিকে নমুনা সংগ্রহের আওতা বাড়ানো জরুরি, অপরদিকে স্বল্পতম সময়ে রেজাল্ট জানিয়ে দেয়াটাও জরুরি।
তিনি আরও বলেন, কখনও কখনও রেজাল্ট পেতে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে হতে মৃত্যু পথযাত্রী হয়ে যাচ্ছে, অথচ ফলাফল পাচ্ছেন না। আমি সংশ্লিষ্টদের কার্যকর সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত ফলাফল জানিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। পরীক্ষার জন্য নমুনা গ্রহণের প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।
তবে অনেকে মনে করছেন- অসহায়, খেটেখাওয়া, দরিদ্র মানুষেরা ফি দিয়ে পরীক্ষা করাতে হয় বলে তারা নমুনা পরীক্ষা থেকে দূরে থাকছেন। দেশের এসকল অসহায় দরিদ্র মানুষের আর্থিক ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে, ফি ছাড়া পরীক্ষার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি বিবেচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন ক্ষমতাসীন দলের এই সাধারণ সম্পাদক।